গ্যালারি কাহন: বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড
কার্ডিফে বাংলাদেশের ম্যাচটি স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। তাও আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারে। তাই ম্যাচের টিকিট ছিল দুর্লভ। ঠিক করেছিলাম ম্যাচটি টিভিতে দেখব। কিন্তু আগের রাতে হঠাৎ দেখি অফিশিয়াল সাইটে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় হয়তো অনেক টিকিট ফেরত চলে এসেছে ওয়েবসাইটে।
কেন্ট থেকে কার্ডিফ ১৮০ মাইল দূরের শহর। তিন ঘণ্টার ড্রাইভ। সহধর্মিণীর সঙ্গে কথা বলে তাড়াতাড়ি টিকিট কিনে নিলাম। বাচ্চাদের তাদের দাদা–দাদুর কাছে রেখে খেলা দেখতে আমরা দুজন যাব। আসা–যাওয়া মিলিয়ে ছয় ঘণ্টার ড্রাইভ। দুজনে শেয়ার করে ড্রাইভ করলে মাঝখানে ব্রেক না নিয়েই যাওয়া যাবে।
কার্ডিফ স্টেডিয়ামের কাছাকাছি যেতেই লাল–সবুজ পতাকা দেখতে পেলাম। অনেক ইংরেজ ও বাংলাদেশি সমর্থক, যাঁরা ডে ট্রিপ করতে চাননি, তাঁরা আগের রাতেই এসে হোটেলে উঠেছেন। শুনেছি কার্ডিফে হোটেলে রুম পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেককে পাশের টাউনগুলোতে উঠতে হয়েছে। স্টেডিয়াম থেকে কিছুটা দূরে গাড়ি পার্কিং করার ব্যবস্থা। সেখান থেকে অফিশিয়াল বাসে করে স্টেডিয়ামে এলাম। স্টেডিয়ামের বাইরে ওভালের মতোই দুই দেশের পতাকা, বাহারি হ্যাট ও স্কার্ফ বিক্রি হচ্ছে। আর সঙ্গে চলছে ব্যান্ড দলের মিউজিক।
খেলা শুরু হতে তখনো মিনিট দশ বাকি। হাবিবুল বাশার ভাইকে দেখলাম ক্যামেরার সামনে কথা বলছেন। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ব্যাটিং দৃঢ়তার সঙ্গে সামলিয়েছেন। কাছে গিয়ে ছবি তুলে এলাম।
খবর পেলাম জাতীয় সংগীতের সময় আমাদের দুজনকে টিভিতে দেখিয়েছে। যাক, আমার বাহারি হ্যাটের কারণে ক্যামেরাম্যান এবার আর আমাকে কাট করেননি।
ইংল্যান্ড শুরু থেকেই দ্রুত রান তুলছিল। ক্রমেই বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল। কিন্তু গ্যালারি ঠিকই লাল–সবুজে বর্ণিল আর বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে স্লোগান। সাকিবের প্রথম বিশ্বকাপ সেঞ্চুরি ছাড়া এই ম্যাচ বাংলাদেশ ভুলেই যেতে চাইবে। কিন্তু হারি বা জিতি আমরা সব সময় টিম টাইগারেরে সঙ্গে আছি। আর তাই ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত সব দর্শকই মাঠে ছিলাম।
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আজ ব্রিস্টলে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। শুভকামনা বাংলাদেশের জন্য। আশা করি বাংলাদেশ জয়ের ধারায় ফিরে আসবে আর দেশ আবার ভাসবে খুশির জোয়ারে।