হংকংয়ে বাংলাদেশিদের ঈদ পুনর্মিলনী

হংকংয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ কওলুনে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশিদের একাংশ
হংকংয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ কওলুনে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশিদের একাংশ

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে হংকংয়ে মুসলিমদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হয়েছে। ৫ জুন বুধবার হংকংয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ কওলুনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় মোট তিনবার। সকাল সাড়ে ৭টা, ৯টা ও সাড়ে ১০টায়।

প্রবাসীদের বেশির ভাগ বাংলাদেশি সকাল ৯টার জামাতেই নামাজ আদায় করেন। এই জামাতে প্রায় পাঁচ শ বাঙালি একসঙ্গে ঈদের জামাতে অংশ নেন। এ ছাড়া হংকং আইসল্যান্ড পার্ল নদীর পাড়ে মসজিদ আম্মারেও অনেক বাংলাদেশি ঈদের নামাজ আদায় করেন।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

বাংলাদেশি ছাড়াও বিভিন্ন দেশের মুসলিমরাও ঈদের জামাতে অংশ নেন। মুসলিম ভ্রাতৃত্বের নিদর্শনে আশপাশে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল যখন একজন আরেকজনের সঙ্গে ঈদের কোলাকুলি ও কুশলাদি বিনিময় করছিলেন।

কওলুন মসজিদে ৯টার ঈদের জামাতের পর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব হংকং (বিএএইচকে) সব মুসলিম জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত আপ্যায়নের ব্যবস্থা করে।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

ঈদের দুই দিন পর ৭ জুন শুক্রবার যথারীতি ঈদের প্রধান আকর্ষণ ঈদ পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়েছিল বিএএইচকের উদ্যোগ। পাকিস্তান ক্লাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হংকংয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মেহদী হাসান।

ঈদ পুনর্মিলনীতে স্বল্প সময়ের পরিসরে বাচ্চাদের কোরআন তিলাওয়াত ও হামদ-নাত প্রতিযোগিতা ছিল বাড়তি আকর্ষণ। আর এই প্রতিযোগিতার পর শুরু হয় ভোজনপর্ব। হরেক রকম দেশি খাবারে ভরপুর ভোজনপর্বে ছিল সুন্দর অতিথিসুলভ আচরণ।

ঈদ উদ্‌যাপনের পর পুনর্মিলনীর এই সুন্দর ও আনন্দঘন দিনটির জন্য হংকংয়ের বাংলা ভাষাভাষীরা অপেক্ষা করেন অনেক দিন ধরে।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল মেহদী হাসান ও বিএইচকের কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল মেহদী হাসান ও বিএইচকের কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা

ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব হংকংয়ের সভাপতি এস এম তাসমিনুল হক বিপু, সেক্রেটারি আশফাকুর রহমান পলাশ, আবেদীন রাশেদুল, মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ (লিটন), শেখ নিয়াজ হোসেইন, এলাহি সায়েদ একরাম (নাসের), সায়েদ এম মুহিউদ্দিন মুহি, দেওয়ান সাইফুল আলম মাসুদ, মুফতি ইফতেখার হোসেইন, বজলুল কাদের হেলাল, ফজলে আজিম, মনজু আহমেদসহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি।

এ ছাড়া বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব হংকংয়ের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদসহ আরও অনেক বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়ে প্রাণবন্ত করে তুলেছিলেন এই অনুষ্ঠান।