সিউলে বাংলাদেশিদের ঈদ মিলনমেলা

সিউলে বাংলাদেশিদের ঈদ মিলনমেলায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
সিউলে বাংলাদেশিদের ঈদ মিলনমেলায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে হয়ে গেল প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ পুনর্মিলনী। হান নদীর তীরের তুকসম রিসোর্টে গতকাল রোববার (১৬ জুন) এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

নদীর তীরঘেঁষা বৃক্ষপল্লবে ঘেরা ছায়াশীতল পরিবেশে প্রবাসীদের জন্য ছিল দিনব্যাপী আয়োজন। সকাল গড়ানোর পর থেকেই পরিবার–পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সেখানে জমায়েত হতে থাকেন প্রবাসী বাঙালিরা। বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে জায়গাটি হয়ে ওঠে এক টুকরো বাংলাদেশ।

আড্ডা, কৌতুক, গান ও বিভিন্ন রকমের বাঙালি খাবারের আয়োজনে মুখর থাকে রিসোর্টের পরিবেশ। ছড়াতে থাকে বাঙালি খাবারের ঘ্রাণ! আয়োজনটিতে ভোজনপ্রিয় বাঙালির রসনাবিলাসের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল হরিণের মাংস! বাংলাদেশে হরিণের মাংস সহজপ্রাপ্য না হলেও কোরিয়াতে সচরাচর তা পাওয়া যায়।

প্রকৃতির সবুজ গালিচায় বসে বাঙালিদের আড্ডা—এ যেন গ্রীষ্মের অলস দুপুরে বাঙালির চিরায়ত সৌন্দর্য। অন্য বিদেশিদের চোখে বাঙালিদের এই সরব উপস্থিতি ছিল হিংসা হওয়ার মতো। কী করে এত মানুষের সরব, প্রাণোচ্ছল অথচ নির্ঝঞ্ঝাট আড্ডা জমানো সম্ভব?

সিউলে বাংলাদেশিদের ঈদ মিলনমেলায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
সিউলে বাংলাদেশিদের ঈদ মিলনমেলায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

এই যে এত এত আনন্দ আয়োজন, এর আয়োজক ছিল প্রবাসী আওয়ামী পরিবার। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের দক্ষিণ কোরিয়া শাখার নেতা রফিকুল ইসলাম, সাঈফ আলী খান, আরিফুর রহমান, ওবায়দুর রহমান, সৈয়দ রিপন, লুলু জামেলী, রাকিব মৃধা, মনোয়ার হোসেন, মাইমুর সুলতান, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের স্থানীয় শাখার সভাপতি ডেভিড ইকরাম এবং বিশেষ অতিথি গোপালগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ মুরাদ হোসেনসহ সর্বস্তরের নেতা–কর্মীদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজনটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে লেখক এস এম আলী সবার খোঁজখবর নেন। উপস্থিত প্রবাসীরা বিভিন্নভাবে নিজেদের ভালো লাগার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করেন।

সিউলে বাংলাদেশিদের ঈদ মিলনমেলায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
সিউলে বাংলাদেশিদের ঈদ মিলনমেলায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

বিকেল গড়িয়ে এলে নৌবিহারের আয়োজন করা হয় হান নদীর পরিচ্ছন্ন পানিতে। স্পিডবোট আর ক্রুজ শিপে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবাই প্রকৃতির বিশুদ্ধ সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকেন।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙতে থাকে এই মিলনমেলা। দিনভর বাঙালিয়ানা নানা আয়োজনের সুখস্মৃতি সঙ্গে নিয়ে নিজ নিজ ঘরে ফিরে যান প্রবাসী বাংলাদেশিরা।