পর্তুগালে প্রবাসীদের ঈদ পুনর্মিলনী ও বনভোজন
আনন্দঘন পরিবেশে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে পর্তুগালের লিসবনপ্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদ পুনর্মিলনী ও বনভোজন। লিসবনপ্রবাসী বিপুলসংখ্যক পরিবারের অংশগ্রহণে বনভোজনটি বাংলাদেশিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। গত শনিবার (১৫ জুন) এ পুনর্মিলনী ও বনভোজনের আয়োজন করা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা তিনটি দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ করেন। তাঁদের প্রথম গন্তব্য ছিল সান্তারেম শহরের পারায়া ফ্লুভিয়াল দ্য অর্তিগা। এরপর পাসাদিকো দ্য আলামাল ও সবশেষে নাভাও নদীর তীরের গির্জার শহর তোমারে যান তাঁরা।
প্রথম গন্তব্য সান্তারেম শহরের পারায়া ফ্লুভিয়াল দ্য অর্তিগায় একসঙ্গে সবাই দুপুরের খাবার খান এবং এখানে সব বয়সীদের জন্য নানা ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ছোটদের লক্ষ্যভেদ এবং নারী ও পুরুষদের জন্য ছিল কয়েকটি প্রতিযোগিতা। পরে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেওয়া বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে দশজনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার বিতরণ করেন পর্তুগালে বসবাসরত প্রবীণ বাংলাদেশি মো. শোয়েব মিয়া।
বনভোজনে একটি জিনিস ছিল আলাদা। বনভোজনে প্রবাসীরা সাধারণত রেস্টুরেন্ট থেকে রান্না করা খাবার কিনে নিয়ে যান। এই বনভোজন ছিল ব্যতিক্রম। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি পরিবার নিজেরা কিছু না কিছু রান্না করে নিয়ে আসেন।
এই আয়োজনের মূল সমন্বয়কারী ছিলেন ওয়ায়েজ খান, ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ও মো. লুটন।
রান্না ও মেয়েদের ইভেন্টগুলোর পরিচালনায় ছিলেন শারমিন মৌ, শারমিন আহমেদ, রাখি চন্দা রয় ও সোমা হোসাইন প্রমুখ।
আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন নয়ন রয়, মোশাররফ হোসাইন, মোস্তাফিজুর রহমান, জাফর সাদিক, সাইদুর রহমান, গোলাম রব্বানী, জি এম আরিফ, শাওন ইসলাম, এনামুল হক, ইমরান শোয়াইব, হাসান চৌধুরী, শম্ভু নাথ সাহা, মেহেদী হাসান, ইসমাইল হোসেন, তারিকুল ইসলাম ও সাইদুর রহমান প্রমুখ।