সাস্কাতুনে এসএসপিপির ফান্ডরাইজিং ব্যাংকুয়েট

এসএসপিপির প্রথম ফান্ডরাইজিং ব্যাংকুয়েটে অতিথিরা
এসএসপিপির প্রথম ফান্ডরাইজিং ব্যাংকুয়েটে অতিথিরা

কানাডার সাস্কাতুনে জমজমাট আয়োজন আর দর্শকদের মুহুর্মুহু করতালির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাস্কাতুন সর্বজনীন পূজা পরিষদের ফান্ডরাইজিং ব্যাংকুয়েট ২০১৯। মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ১৫ জুন (শুক্রবার) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আয়োজনে সাস্কাতুনের সকল পেশা-শ্রেণি আর ভিন্ন ভাষাভাষীর সাবলীল উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে নিয়ে যায় অন্য উচ্চতায়। বাঙালিরা এই সফল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আবার প্রমাণ করল, তারা চাইলেই সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন আর কানাডার সংস্কৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুন্দর একটা সন্ধ্যা উপহার দিতে পারে।

শাঁখ, ঝাঁজর, কাঁসি ও ঢাকের সম্মিলিত পরিবেশনা আর উপস্থিত অতিথিদের নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল প্রদক্ষিণের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। প্রাদেশিক মন্ত্রী, সাংসদ, বিরোধীদলীয় নেতাসহ আরও অনেকে এতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও কানাডার জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। এ বছরের অনুষ্ঠানের থিম ছিল কানাডার জাতীয় আদিবাসী দিবস।

বক্তারা
বক্তারা

অধ্যাপক অসিত সরকার সূচনাপর্বে সবাইকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন আর বাকি কানাডীয়দের মধ্যে পুনর্মিলনের তাৎপর্য বর্ণনা করেন। এরপর স্থানীয় ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজনের আধ্যাত্মিক প্রার্থনা পরিবেশন করেন এল্ডার জোসেফ নাইওটোহ। এসএসপিপির অন্যতম প্রধান পুরোহিত অশোক উকিল শ্রী শ্রী গীতা থেকে পাঠের পর বিশেষ অতিথিদের নিয়ে পঞ্চপ্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।

ব্যাংকুয়েটের চেয়ার শিব শংকর পোদ্দার সূচনা বক্তব্যে এসএসপিপির জন্ম আর এই আয়োজনের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে উপস্থিত সবাইকে অনুষ্ঠান উপভোগ করার আহ্বান জানান। এরপর বক্তব্য দেন সাস্কাতুন পুলিশ সার্ভিসের প্রধান ট্রয় কুপার, সাস্কাচেওয়ান প্রদেশে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল রব নরিস, ফেডারেশন অব সোভেরিন ইন্ডিয়ান নেশনের ভাইস চিফ ডেভিড প্রেট, এসএসপিপির সভাপতি ড. চঞ্চল রায়।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

চঞ্চল রায় তাঁর বক্তব্যে সব স্পনসর, স্বেচ্ছাসেবক আর কমিউনিটির সব সদস্যকে এই রকম সফল অনুষ্ঠানের জন্য ধন্যবাদ জানান।

নৈশভোজের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি এতে অংশ নেয় সাস্কাতুনের অন্যতম ব্যান্ড ঝুম। দর্শকদের করতালি আর শিল্পীদের মোহনীয় পরিবেশনা কখন যে ঘড়ির কাঁটা ১১টা ছুঁয়েছে, টের পায়নি কেউ। অত্যন্ত সুন্দর ও গোছালো অনুষ্ঠানটির প্রতিটি পর্যায়ে ছিল মুনশিয়ানার ছোঁয়া। কিছু তরুণের নতুন প্রতিষ্ঠান সহযোগ (SOHOJOG) তাদের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে স্টেজ সাজিয়েছে ব্যতিক্রমী কিছু শিল্পসম্ভার দিয়ে, যা আগত সবাইকে মুগ্ধ করেছে।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা