মুক্তিযোদ্ধা কয়সর ও রশীদ স্মরণে লন্ডনে আলোচনা

মুক্তিযোদ্ধা কয়সর ও রশীদ স্মরণে লন্ডনে আলোচনা
মুক্তিযোদ্ধা কয়সর ও রশীদ স্মরণে লন্ডনে আলোচনা

মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া জটিল হলেও তা চূড়ান্তকরণে কাজ করছে সরকার। যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা সদ্যপ্রয়াত সৈয়দ মাহমুদুল হক কয়সর ও সৈয়দ নুরুর রশীদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর। তিনি তৃণমূলের মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মূল্যায়নের বিষয়েও জোর দেন। ১৫ জুন শনিবার লন্ডনের মূল শহরের ফিলপট লেনের একটি রেস্টুরেন্টে এ স্মরণসভা আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন। পরিচালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবদুল মাবুদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার জুলকার নায়েন ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকার আহবাব হোসেন।

সভার শুরুতে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

আলোচনা পর্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ হাসান ও দেওয়ান গৌছ সুলতান, বিজয়ফুল কর্মসূচির চেয়ার কবি শামীম আজাদ, কো-অর্ডিনেটর কবি মিলটন রহমান ও কবি ফারাহ নাজ, শহীদ সোলায়মান স্মৃতি সংসদের কবি ময়নুর রহমান বাবুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক আলীমুজ্জামান এবং খালেদা কোরেশি, শিরিন চৌধুরী ও নিলুফার কয়সর।

বক্তারা প্রয়াত দুই মুক্তিযোদ্ধার কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, তারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেই দায়িত্ব শেষ করেননি। আজীবন দেশের জন্য বিদেশে থেকেও কাজ করে গেছেন। বিলেতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সমুন্নত রাখা ও নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানোর ক্ষেত্রেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

আবদুল মাবুদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ধনী–গরিবের কোনো ভেদ তৈরি কাম্য নয়। সবাইকে একইভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।

সভাপতি লোকমান হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করা না হলে প্রকারান্তরে দেশকেই অবমূল্যায়ন করা হয়।

স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আমান উদ্দিন, ফয়জুর রহমান, আবু মুসা হাসান ও মেফতাহউল ইসলাম এবং আবৃত্তিকার রুপা চক্রবর্তী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি