নেদারল্যান্ডসে রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কাদেরী কিবরিয়া
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কাদেরী কিবরিয়া

নেদারল্যান্ডসে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দ্য হেগে গত শনিবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ দূতাবাস রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী আয়োজন করে। দ্য হেগের গান্ধী সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই জয়ন্তীতে প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী কাদেরী কিবরিয়া এবং নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংগীত স্কুল সংগীতীর প্রতিষ্ঠাতা ও সংগীত শিল্পী প্রজ্ঞা ভট্টাচার্য সংগীত পরিবেশন করেন। দূতাবাস পরিবারের সদস্য, স্থানীয় সংগীত শিল্পীরাও এতে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া শিশু শিল্পীরাও সংগীত পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে দূতাবাস কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশি প্রবাসী ও শিক্ষার্থী দর্শক-শ্রোতা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন প্রজ্ঞা ভট্টাচার্য
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন প্রজ্ঞা ভট্টাচার্য

অনুণ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে নেদারল্যান্ডসে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্য, নাটক এবং সংগীতকে এক উচ্চতর স্থানে আসীন এবং বাংলা সংস্কৃতি ও সাহিত্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছেন। শান্তি, মানবতা, মানবাধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতা, ভালোবাসা ও প্রকৃতির নির্ভর তাদের প্রশংসনীয় লেখনী যুগে যুগে বাংলার তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। এই দুই মহান সাহিত্যিক বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির একাধিক ধারায় তাদের চির অম্লান পদাঙ্ক রেখে গিয়েছেন। তাঁদের বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা ও সৃজনশীলতা কেবল বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেনি, তাঁদের বিশাল কর্ম নিয়ে গবেষণামূলক বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করেছেন।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা
অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা

রাষ্ট্রদূত বেলাল কাজী নজরুলের সাহিত্যকর্মের সূত্র ধরে উপস্থিত সকলকে আহ্বান জানান, বিরাজমান আর্থসামাজিক সংকুচিত করার ক্ষেত্রে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার জন্য। তিনি বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের দৃষ্টান্তমূলক অগ্রগামী অবস্থান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারীর ক্ষমতায়নে গৃহীত বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। রাষ্ট্রদূত বেলাল রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের বিশাল সাহিত্যকর্ম থেকে যথাযথ জ্ঞান আহরণ করে সবাইকে মানবতার ধর্ম অনুসরণকারী ও মানবিক গুণাবলিসমৃদ্ধ মানুষ হিসেবে সমাজে আত্মপ্রকাশ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান।

স্বাগত বক্তব্য দেন শেখ মুহম্মদ বেলাল
স্বাগত বক্তব্য দেন শেখ মুহম্মদ বেলাল

অনুষ্ঠানে কাদেরী কিবরিয়ার কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীতের ঐন্দ্রজালিক উপস্থাপনা শ্রোতাদের বিমোহিত করে। অন্যদিকে প্রজ্ঞা ভট্টাচার্য, রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিণী ডা. দিলরুবা নাসরিন ও অন্যান্য স্থানীয় শিল্পীদের নজরুল গীতির সুরের মূর্ছনা সকলকে আবেশিত করে। সামগ্রিকভাবে, দর্শক-শ্রোতারা সংগীত শিল্পীদের পরিবেশনা উপভোগ করেন এবং এই ধরনের একটি চমৎকার অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান। বিজ্ঞপ্তি

দর্শক-শ্রোতার একাংশ
দর্শক-শ্রোতার একাংশ