মরিশাসে স্বেচ্ছায় রক্ত দিলেন বাংলাদেশিরা

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হুসনু ও হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদসহ অন্য অতিথিরা
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হুসনু ও হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদসহ অন্য অতিথিরা

মরিশাসের রাজধানী পোর্ট লুইসে রক্তদান কর্মসূচিতে স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিশ্ব রক্তদান দিবস উপলক্ষে দেশটির বাংলাদেশ হাইকমিশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয় এ রক্তদান কর্মসূচি। পোর্ট লুইসের বাগাটেল শপিং মলে সকাল নয়টা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত জাতীয় ব্লাড ট্রান্সফিউশন সার্ভিস রক্ত সংগ্রহ করে।

কর্মসূচিতে রেজিনা আহমেদ প্রথম রক্তদান করেন
কর্মসূচিতে রেজিনা আহমেদ প্রথম রক্তদান করেন

কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হুসনু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এখনো কৃত্রিম উপায়ে রক্ত তৈরি করা যায় না। সুতরাং মানবজীবনে শ্রেষ্ঠ উপহার হলো অন্যকে রক্তদান। প্রবাসী বাংলাদেশি কর্তৃক আয়োজিত আজকের এ রক্তদান কর্মসূচি এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। তিনি আরও বলেন, আর্তমানবতার সেবায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এ উদ্যোগ সবার জন্য অনুকরণীয়। তিনি বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ রক্তদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘মরিশাসে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। আজকে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি, প্রবাসী কর্মীরা শুধু কর্মের মধ্যেই ব্যস্ত থাকেন না। তাঁরা প্রয়োজনে যেকোনো ত্যাগস্বীকার করতেও প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ ধরনের আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত থাকব।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের এ আয়োজন নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ও মরিশাসের জনগণের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে।’

প্রবাসী বাংলাদেশিদের রক্তদান
প্রবাসী বাংলাদেশিদের রক্তদান

কর্মসূচিতে প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মরিশাসের বিভিন্ন পর্যায়ের নাগরিকেরা। উপস্থিত অতিথিরা বলেন, শুধু রক্ত সংগ্রহই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য নয়। সবাইকে সচেতন করতেই এ আয়োজন। চিকিৎসাক্ষেত্রে রক্ত এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। জরুরি প্রয়োজনে নিরাপদ রক্ত সরবরাহ আমাদের সবার জন্যই এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। তারা বাংলাদেশ হাইকমিশনের ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, হাইকমিশনের এ উদ্যোগ কিছুটা হলেও এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন ইয়ং স্টার প্রবাসীকল্যাণ সংঘ বাংলাদেশ হাইকমিশনের এ উদ্যোগের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালায়।

কর্মসূচিতে রেজিনা আহমেদ প্রথম রক্তদান করেন। অনুষ্ঠানে ৬৩ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও স্থানীয় জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি