দ্য টেস্টামেন্টস সিক্যুয়েলে অ্যাটউডীয় টেইল

মার্গারেট অ্যাটউড
মার্গারেট অ্যাটউড

ধর্মীয় ফতোয়ার শিকার এক প্রজননদাসীর বেদনার্ত জীবনগাথা-নির্ভর একটি উপন্যাসের নাম ‘দ্য হ্যান্ডমেইডস টেইল’। ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত মার্গারেট অ্যাটউডের দুনিয়া কাঁপানো উপন্যাসটি দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আবার আলোচনার ক্যানভাসে ফিরে আসে ২০১৮ সালে, উত্তর আয়ারল্যান্ডের লেখক অ্যানা বার্নসের ‘মিল্কম্যান’ উপন্যাসটি ম্যান বুকার পুরস্কার অর্জনের পর।

ধর্মীয় ইস্যুতে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও সশস্ত্র সন্ত্রাসকবলিত এই রাজ্যে যৌন নির্যাতনের শিকার এক অষ্টাদশীর আর্তনাদ নিনাদিত হয়েছে অতি নীরবে পুরস্কারপ্রাপ্ত এই কাহিনিতে। কাহিনির কথকের ভূমিকা পালনকারী কিশোরীটি অনামিকা। আত্মমর্যাদা রক্ষা করার জন্য তিনি শুধু মিডল সিস্টার বা মেজ বোন হিসেবে নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন পাঠকের দরবারে।

সমালোচকেরা উত্তর আয়ারল্যান্ডের এই কাহিনির উপস্থাপনার কৌশল প্রসঙ্গে টেনে এনেছেন কানাডার উপন্যাস দ্য হ্যান্ডমেইডস টেইলকে। এই কাহিনিতে নির্যাতিত নারী অফ্রেড নিজেই প্রক্ষেপণ করেছেন নিজের যন্ত্রণারশ্মি পাঠকের চোখে। অফ্রেড নামটি তাঁর প্রকৃত নাম নয়। নিঃসন্তান কমান্ডার ফ্রেডেরিক ওয়াটারফোর্ডের প্রজননদাসী হিসেবে কাজ করেছেন বলেই কমান্ডার ফ্রেড তাঁর নিজের সম্পত্তি মনে করে এই নারীর নাম রেখেছেন অফ্রেড (অফ ফ্রেড)। অনুরূপভাবে ড্যানিয়েল, স্টিভেন, গ্লেন, ওয়ারেন, রবার্ট, স্যামুয়েল প্রভৃতি নামধারী কমান্ডারদের প্রজননসেবা দিয়ে সংশ্লিষ্ট জননীরা নিজেদের নাম হারিয়ে পরিচিত হয়েছেন যথাক্রমে অফড্যানিয়েল, অফিস্টভেন, অফেগ্লন, অফওয়ারেন, অফ্রবার্ট আর অফস্যামুয়েল হিসেবে।

উপন্যাসের শেষে একটি কালো রঙের ভ্যান এসে অফ্রেডকে নিয়ে রওনা দেয় রাতের অন্ধকারে, অজানা গন্তব্যে। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর এই কালো ভ্যানগাড়ির রহস্য উন্মোচন করেছেন কাহিনিকার মার্গারেট অ্যাটউড। দ্য হ্যান্ডমেইডস টেইল-এর আবৃত রহস্যকে অনাবৃত করে সিক্যুয়েল উপন্যাস হিসেবে তিনি রচনা করেছেন ‘দ্য টেস্টামেন্টস’, যেটি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর। পেঙ্গুইন র‍্যান্ডম হাউস থেকে প্রকাশিতব্য এই উপন্যাসের শুভ মহরত হবে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ন্যাশনাল থিয়েটার থেকে। অনুষ্ঠানে লেখকের সাক্ষাৎকার নেবেন বিবিসি সাংবাদিক, ব্রিটিশ কলামিস্ট ও গ্রন্থকার সামিরা আহমেদ।

অনুষ্ঠানটি একযোগে প্রদর্শিত হবে বৃহত্তর টরন্টো শহরের সাতটি সিনেপ্লেক্স মুভি থিয়েটারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়েক শ সিনেমা হলে। এক বিবৃতিতে অ্যাটউড জানিয়েছেন, ‘আমার অ্যানালগ শরীরটাকে আমি হয়তো সব জায়গায় নিয়ে যেতে পারব না। তবে, ডিজিটাল পর্দায় অনেক পাঠকের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ নিয়ে আমি অপেক্ষায় থাকব।’

মার্গারেট অ্যাটউডের দ্য টেস্টামেন্টস
মার্গারেট অ্যাটউডের দ্য টেস্টামেন্টস

‘মার্গারেট অ্যাটউড: লাইভ ইন সিনেমাস’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানটির আয়োজক নারী অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইকুয়ালিটি নাউ। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে সামিরা জানতে চাইবেন অ্যাটউডের বর্ণিল জীবনের নানান বর্ণালির কথা। ৩৩ বছর পর দ্য হ্যান্ডমেইডস টেইল-এর সিক্যুয়েল টেনে আনার রহস্য তো অবশ্যই অনাবৃত করার চেষ্টা করবেন ৫১ বছর বয়সী এই সাহিত্যরসিক। টিকিট সংগ্রহ করা যাবে <margaretatwoodlive.com> নামের ওয়েবসাইট থেকে।

দ্য টেস্টামেন্টস সিক্যুয়েলের কাহিনিতে কথক হিসেবে থাকছেন রহস্যময়ী তিন নারী। নিজে না বলে অন্যকে দিয়ে বলানো—এটি যেন একটি অ্যাটউডীয় মেজাজে পরিণত হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ১৫টি উপন্যাস। অপ্রকাশিত ‘স্ক্রিব্লার মুন’ উপন্যাসটি তিনি ২০১৪ সালে জমা দিয়েছেন নরওয়ের ফিউচার লাইব্রেরি নামে একটি শতবর্ষী প্রকল্পে। এটি প্রকাশিত হবে ২১১৪ সালে। বাকি ১৪টি উপন্যাসের মধ্যে দু-একটি ছাড়া প্রায় সব কটিতেই বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন অ্যাটউড শুধুই রচয়িতা। ‘অরিক্স অ্যান্ড ক্রেক’ উপন্যাসে স্নোম্যান নামের একজন পুরুষ কথক থাকলেও, বাকি উপন্যাসগুলোতে কথা বলেছেন কেবল নারী চরিত্রগুলোই। কোথাও একজন, কোথাও দুই বোন আবার কখনো তিন-চার বান্ধবী।

কোনো কোনো সমালোচকের কপালে ইতিমধ্যেই একটু ভাঁজ পড়ে গেছে। তাঁরা ভাবছেন, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর, ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত ‘দ্য হ্যান্ডমেইডস টেইল’ উপন্যাসের ঘটনার ধারাবাহিকতা ও উপস্থাপনার মেজাজ ২০১৯ সালে প্রকাশিতব্য ‘দ্য টেস্টামেন্টস’ উপন্যাসে অক্ষুণ্ন রাখা ৮০ বছরের মাথায় পা রাখা একজন লেখকের পক্ষে কতখানি সম্ভব হবে।

তবে কাজটি যেহেতু অ্যাটউডের কি-বোর্ড দিয়েই হচ্ছে, সেই অজুহাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে ‘দ্য টেস্টামেন্টস’ সম্পর্কে আশাবাদী। আমার এই প্রত্যয়ের পেছনের কারণটি আমি পাঠকদের জানাতে চাই। টি এস এলিয়টের বান্ধবী কবি ভার্জিনিয়া ওল্ফের প্রতিষ্ঠিত দ্য হোগার্থ প্রেস নামের প্রখ্যাত প্রকাশনা সংস্থার অনুরোধে মার্গারেট অ্যাটউড ইতিমধ্যে একটি চমকপ্রদ দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। প্রকাশকের অনুরোধে তিনি শেকসপিয়ারের (১৫৬৪-১৬১৬) শেষ জীবনের লেখা ‘দ্য টেম্পেস্ট’ নাটকের সমান্তরাল একটি উপন্যাস রচনা করেছেন ২০১৬ সালে। সর্বকালের সেরা ব্রিটিশ নাট্যকার উইলিয়াম শেকসপিয়ারের ৪০০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দ্য নভেলাইজেশন অব ড্রামার কাজটি তিনি একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রায় উঠিয়ে নিয়ে এসেছেন তাঁর ‘হ্যাগ-সিড’ উপন্যাসে। একজন সমালোচক তো বলেই ফেলেছেন, শেকসপিয়ার বেঁচে থাকলে অ্যাটউডের কাজ দেখে আনন্দে নেচে উঠতেন।

আধুনিক কালের পাঠকের কাছে প্রাচীনকালের এই নাট্যকারকে নতুনভাবে উপস্থাপন করার এই ঝুঁকিপূর্ণ কর্মে তাঁর সার্থকতা হচ্ছে, যে পাঠক মূল ‘দ্য টেম্পেস্ট’ পড়েননি, তিনিও অ্যাটউডের হ্যাগ-সিডকে তাঁর মজ্জায় ঢুকিয়ে নিয়েছেন। তা ছাড়া, ২০০৩ থেকে ২০১৩—এই ১১ বছরে সমাপ্ত তাঁর তিনটি ধারাবাহিক উপন্যাস ‘অরিক্স অ্যান্ড ক্রেক’ (২০০৩), ‘দ্য ইয়ার অব দ্য ফ্লাড’ (২০০৯) ও ‘ম্যাডাড্ডাম’ (২০১৩) নিয়ে তাঁর ম্যাডাড্ডাম ট্রিলজির সার্থকতার ইতিহাস তো আছেই।

অ্যাটউডের ‘দ্য হ্যান্ডমেইডস টেইল’ কথিত মার্কিন মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে একটি সাহসী আক্ষরিক ও রূপক বিস্ফোরণ। বিস্ফোরিত এই বোমার বারুদ তিনি সংগ্রহ করেছেন সরাসরি বাইবেল থেকে। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমেরিকার মৌলবাদীরা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনী প্রচারণাকালে ট্রাম্প ‘অ্যাবরশনের দায়ে মেয়েদের শাস্তি পাওয়া উচিত’ মর্মে মন্তব্য করলে প্রগতিবাদীরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। ২০ জানুয়ারি (২০১৭) ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেব শপথ নেওয়ার পর অ্যাটউডের ‘ডিস্টোপয়ান’ অর্থাৎ দূরকল্পী উপন্যাস ‘দ্য হ্যান্ডমেইডস টেইল’-এর চাহিদা হঠাৎ বৃদ্ধি পায়। ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘গার্ডিয়ান’ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী গ্রন্থটি আমাজনের বেস্টসেলার তালিকায় ‘টপ টেন’ পজিশন নিয়ে টানা কয়েক সপ্তাহ অবস্থান করে।

দ্য হ্যান্ডমেইডস টেইল
দ্য হ্যান্ডমেইডস টেইল

যাঁরা ‘দ্য হ্যান্ডমেইডস টেইল’ না পড়েও আজকের এই প্রবন্ধটি পড়ে কৌতূহলী হচ্ছেন, তাঁদের জন্য এই কাহিনি সম্পর্কে সামান্য ধারণা এখানে সংযোজিত হলো। বাজারে এ পর্যন্ত গ্রন্থটির ৮০ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে। অপেরা, চলচ্চিত্র, কানাডা ব্রডকাস্টিং করপোরেশন ছাড়াও মার্কিন টেলিভিশনে গ্রন্থটি প্রচারিত হয়েছে সিরিজ নাটক হিসেবে। শুরুতে লেখক উপন্যাসটির নাম রেখেছিলেন ‘অফরেড’। এই গল্পের কথক একটি কন্যা সন্তানের জননী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী অফ্রেড নামের এই মেয়েটির একদিন স্বামী-সংসার সবই ছিল। তাঁর কপাল পুড়েছে গিলিয়েডের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর। কানাডার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাম আমেরিকা হলেও রূপক হিসেবে এই রাষ্ট্রের নাম রাখা হয়েছে গিলিয়েড। ভয়াবহ এক গৃহযুদ্ধের পর একটি ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী গিলিয়েডের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত ও জাতীয় সংবিধানের গণতান্ত্রিক চরিত্র বাতিল করে।

দ্য রিপাবলিক অব গিলিয়েড নামের এই সরকার ক্ষমতা দখল করার পর বাইবেলে বর্ণিত জ্যাকবের পুত্রের নামে প্রতিষ্ঠা করে ক্রিশ্চান ফান্ডামেন্টালিস্ট স্টেট চার্চ। একসময় দেখা গেল, পারমাণবিক বর্জ্য, রাসায়নিক কীটনাশক, জন্মনিরোধক পণ্যের অপব্যবহার, অতিরিক্ত গর্ভপাত এবং এইডস ও সিফিলিসের ব্যাপক প্রকোপসহ বিভিন্ন কারণে গিলিয়েডের নারী-পুরুষ সবাই খুব দ্রুত প্রজনন ক্ষমতা হারাতে থাকে। আবার কারও কারও প্রজননক্ষমতা থাকলেও তাঁদের প্রসবিত সন্তান বিকলাঙ্গ (অ্যাটউডের ভাষায় আনবেবি) হয়ে জন্ম নিচ্ছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের যেসব কর্মকর্তার স্ত্রীরা সন্তান ধারণে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের পরিবারে সন্তানের জন্ম নিশ্চিত করার জন্য চার্চের পরামর্শে তাঁরা এক ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেন। কিন্তু যেসব পুরুষ সন্তানদানে ব্যর্থ হয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সেসব পুরুষের চিহ্নিত করা হয়নি। বরং, দেশের আনাচকানাচে যেসব নারী ইতিমধ্যে সন্তান ধারণ কর্মে সফল হয়েছেন, সরকার অত্যন্ত কঠোরতা ও নিষ্ঠুরতার সঙ্গে সে সব নারীদের তাঁদের স্বামী-সন্তানদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দ্য রাসেল অ্যান্ড লিয়াহ সেন্টারে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে।

বেসরকারিভাবে এটি ‘রেড সেন্টার’ নামে পরিচিত হলেও আসলে কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে বাইবেলে বর্ণিত জ্যাকবের স্ত্রী রাসেল ও লিয়াহর নামে। এই কেন্দ্রে ভর্তি করার পর তাঁদের প্রত্যেককে একেকজন বন্ধ্যা স্ত্রীর হ্যান্ডমেইড বা প্রজননদাসী হিসেবে কাজ করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করা হয়। বাইবেলের ‘দ্য বুক অব জেনেসিস’-এর ৩০তম অধ্যায় (১-৩) থেকে পাঠ করে তাঁদের শোনানো হয় এবং বিশ্বাস করানো হয় যে একজন স্বামী তাঁর বন্ধ্যা স্ত্রীর অনুমতিক্রমে স্ত্রীর সামনে তাঁর দাসীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর দাসীর গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তানই হবে গর্বিত দম্পতির সন্তান। রেড সেন্টারে প্রশিক্ষণ দানকালে দাসীদের বোঝানো হয়, পরপুরুষ ও দাসীর মধ্যে সম্পাদিত কর্মকাণ্ডের জন্য কারও কোনো পাপবোধের অবকাশ নেই।

গিলিয়েডে একজন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে একজন দাসীর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর সন্তানদানে সফল দাসীকে বদলি করে নিয়োগ দেওয়া হয় প্রজননে ব্যর্থ অন্য এক দম্পতির অধীনে। সন্তানদানে ব্যর্থ হলে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয় গার্বেজ কলোনিতে আবর্জনা পরিষ্কারের কাজে। গিলিয়েড রাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, নারী প্রজননদাসী হিসেবে কাজ করার পর তাঁর নিজের পরিবারে ফিরে যাওয়ার সব পথ চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। যেসব নারী সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তান ধারণ করতে অস্বীকৃতি জানান, তাঁদেরকে ‘আনওম্যান’ ঘোষণা দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যা করা হয় অথবা গার্বেজ কলোনিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্থায়ীভাবে।

কাহিনির কথক অফ্রেডের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছিল আমরা জানি না। গিলিয়েড শাসনের পতনের পর নতুন গণতান্ত্রিক দেশের একদল পণ্ডিত ঐতিহাসিক গবেষকদের ধারণকৃত একটি রেকর্ড বাজিয়ে শুনেছেন অফরেডের আত্মকথন। অফ্রেডের শেষ কথা, ‘ভ্যান গাড়িটি এসে থামল। দুই রক্ষী এসে আমাকে কর্ডন করে গাড়িতে উঠিয়ে দিলেন। ভ্যানের দরজা বন্ধ হলো। গাড়ি চলতে লাগল।’ ধারণকৃত রেকর্ডটি ‘দ্য হ্যান্ডমেইডস টেইল’-এ আর বাজেনি। পাঠক জানেন না, অফ্রেডের পরিণতি কী হয়েছিল। মুক্তি, মৃত্যু না বন্দীদশা? রেকর্ডের বাকি অংশ বাজবে ‘দ্য টেস্টামেন্টস’ সিক্যুয়েলে।