এই ছুটিতে লাস ভেগাসে

মাইকেল জ্যাকসনের প্রতিকৃতির সামনে
মাইকেল জ্যাকসনের প্রতিকৃতির সামনে

আমার হাবি ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ২৬তম ব্যাচ। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এ বছর তাদের মিলনমেলা (গেট টুগেদার) করবে লাস ভেগাসে। এ জন্য বহু আগে থেকে আমাদের ছুটি নেওয়া ছিল। নির্দিষ্ট দিন স্যানডিয়াগো থেকে ড্রাইভ করে রওনা হলাম।

দিনটি ছিল ছুটির দিন। তেমন বেশি ভিড় ছিল না রাস্তায়। পথে পার হয়েছি আমেরিকার শুষ্কতম মরুভূমি মহাবি ডেজার্ট। এর মাঝে আছে ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক। যেখানে দেখেছি যশোয়া ট্রি। মাইলের পর মাইল মরুভূমি। রোদের খেলায় বালির রং মনে হয়েছে সোনালি। মাঝে মাঝে রং-বেরঙের পাথর, চকচকে সোলার প্যানেল, দ্রুত ঘুরছে উইন্ডমিল।

আমেরিকার শুষ্কতম মরুভূমি মহাবি ডেজার্ট
আমেরিকার শুষ্কতম মরুভূমি মহাবি ডেজার্ট

পথে ৪০ মিনিটের মতো যাত্রাবিরতি নিয়ে পৌঁছে গেলাম লাস ভেগাস। এমজিএম সিগনেচার হোটেলে চেক ইন করার পরই তাঁর দুই বন্ধু এল রুমে। একজন ফ্যামিলি ডালাসে রেখে এসেছেন। আর সুবীর ভাই ও ওনার স্ত্রী টেমি এল। প্রথম পরিচয়। কিন্তু মনে হয়েছে অনেক দিনের চেনা। তাঁরা বললেন, সাতটায় মাইকেল জ্যাকসন শো দেখবেন। তাঁদের বন্ধুরা সবাই এসে পৌঁছাননি তখনো।

আমরাও যাব ঠিক করলাম। এর আগে ডেভিড কপারফিল্ড শো দেখেছিলাম হেঁটে গিয়ে শেষ মুহূর্তে। এমজিএম সিগনেচারে কোনো সেলফ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। গাড়ি নিয়ে আমরা ম্যানডালে বে হোটেলে চলে গেলাম। লাস ভেগাসে গাড়ি না নিয়ে উবারে চড়া অনেক কনভেনিয়েন্ট।

সহধর্মিণীসহ ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী সহধর্মিণীসহ ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী
সহধর্মিণীসহ ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী সহধর্মিণীসহ ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী

মাইকেল জ্যাকসন ওয়ান শোর টিকিট নিলাম। বিশাল হলে বসে গেলাম একসঙ্গে। মাইকেলের সব পরিচিত গানের সঙ্গে অপরূপ ট্র্যাপেজি, আলোর চাঁদের সঙ্গে ভাসমান চাঁদ রাজকন্যা, ভাসমান মানুষ তারাঢাকা, মাঝে মাঝে স্টেজ ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে...Where there is love I will be there ছোট্ট মাইকেল গাইছে। তারপর ব্যাড, স্মুথ ক্রিমিনাল, দ্য ওয়ে ইউ মেক মি ফিল ম্যান ইন দা মিরর। বিশাল গাছের নিচে স্পার্কলি মাইকেল যে অধরাই থেকে গেল। বাইরে এসে কিছু ছবি তুললাম।

হোটেলে ফিরে এসে টিপু ভাই তাঁদের ৫০ জনের ছবিসহ টি শার্ট আর ফৌজিয়ানদের ব্লু টি শার্ট এনে দিলেন। দেশ থেকে ফয়েজ ভাই পাঠিয়েছেন। কিছু ছবি আর তাঁদের সীমাহীন আড্ডা। বউরা বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমাতে চলে গেলাম রাত একটার দিকে। (চলবে)