রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময়

রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময়
রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময়

ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে দেশটির রাজধানী রোমের বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) নতুন চ্যান্সেরির সম্মেলনকক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, নিজস্ব জমিতে ভবন নির্মাণের পর সম্প্রতি সেখানে দূতাবাসের কার্যক্রম চালু হয়েছে।

সভার শুরুতে রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার আমন্ত্রিত ইমামদের নতুন চ্যান্সেরিতে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস যেন প্রবাসীদের সার্বিক কল্যাণে নিয়োজিত থাকতে পারে, সে জন্য ইমামদের কাছে দোয়া চান। তিনি দূতাবাস থেকে প্রদত্ত সেবাসমূহ, সেবাপ্রাপ্তির পূর্বশর্ত, সময়সূচি ইত্যাদি তুলে ধরে এসব তথ্য প্রবাসীদের কাছে পৌঁছাতে তাঁদের সহযোগিতা কামনা করেন।

আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, দূতাবাসের প্রচেষ্টায় গত ছয় মাসে বিপুলসংখ্যক পাসপোর্ট বাংলাদেশ থেকে প্রস্তুত হয়ে এসেছে। এই পাসপোর্ট বিতরণ করা হচ্ছে। পাসপোর্ট তৈরির সময় সেবাপ্রত্যাশী ব্যক্তি সঠিক তথ্য প্রদান না করলে বা তথ্য গোপন করলে পাসপোর্ট প্রদানে জটিলতার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে প্রচলিত ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রত্যেক পাসপোর্টধারী ব্যক্তির তথ্য অর্থাৎ নাম, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, আঙুলের ছাপ ইত্যাদি সংরক্ষণ করা আছে। পরে ভুল বা ভিন্ন তথ্য প্রদান করলে তা কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত হয়। ফলে পাসপোর্ট প্রদান কঠিন হয়ে পড়ে। এ জন্য তিনি প্রবাসীদের পাসপোর্টের জন্য তথ্য প্রদানকালে সচেতন হওয়ার ও সততা অবলম্বনের আহ্বান জানান।

রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময়
রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময়

রাষ্ট্রদূত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ পথে বিদেশে আগমনকে নিরুৎসাহিত এবং এ ব্যাপারে প্রবাসীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করার জন্য ইমামদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য হওয়ার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান জানান। এই সদস্য পদ অর্জন করলে একজন বাংলাদেশি কী কী সুবিধা পাবেন, তা উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে ইমামদের অনুরোধ জানান।

আবদুস সোবহান সিকদার আরও বলেন, ইতালিতে দুই লাখের বেশি প্রবাসী বাস করেন। তাই দূতাবাসকে বিভিন্ন ধরনের কনস্যুলার সেবা দিতে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। তা সত্ত্বেও বর্তমানে অতীতের অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রথা বাতিল করে দূতাবাসে হাজির হওয়া সব আবেদনকারীর কনস্যুলার সেবা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

মতবিনিময়কালে ইমামরা এমন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তাঁরা দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড প্রাপ্তি, রোম-ঢাকা-রোম রুটে পুনরায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু ও ই-পাসপোর্ট প্রাপ্তির বিষয়ে দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত জানান, এ বিষয়ে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে দূতাবাস সেবা প্রদানে সদা সচেষ্ট আছে। প্রবাসীদের জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ স্থাপনের জন্য সহযোগিতার প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত জানান, উপযুক্ত স্থান পাওয়া গেলে সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ করে এ বিষয়ে দূতাবাস প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।

সভায় কাউন্সেলর ও দূতালয়প্রধান সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান, পাসপোর্ট উইংয়ের প্রথম সচিব শেখ ছালেহ আহমদ ও কূটনৈতিক উইংয়ের প্রথম সচিব এ এস এম সায়েম উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি