সিডনিতে ভাড়াটিয়ার চেয়ে বাড়িওয়ালা বেশি

সিডনিতে ভাড়াটিয়ার চেয়ে বাড়িওয়ালা বেশি। সংগৃহীত
সিডনিতে ভাড়াটিয়ার চেয়ে বাড়িওয়ালা বেশি। সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রধান শহর সিডনিতে ভাড়া বাড়ির সংখ্যার আধিক্য দেখা দিয়েছে। সে তুলনায় বাড়ি ভাড়া নেওয়ার চাহিদা অনেক কম। ফলে, বাড়ি ভাড়া কমতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও ভাড়াটিয়া ধরে রাখতে ইউনিটপ্রতি ১০০ ডলারেরও বেশি কমাতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকেরা। এর প্রভাব পড়েছে বাড়ি বিক্রিতেও। ক্রেতাও তুলনা অনুসারে অনেক কম।

এ অবস্থায় বিভিন্ন প্রণোদনা ঘোষণার পাশাপাশি মালিকেরা বাড়ি বিক্রির জন্য গ্রাহক আকর্ষণ করতে বিভিন্ন সুবিধাও দিচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৩০ থেকে ৫০ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার ছাড়, আসবাবপত্র কেনার উপহার ভাউচার ইত্যাদি। গত কয়েক মাসে বসতবাড়ির দাম কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত। বসতবাড়ির এ বাজার মন্দার জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।

অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম রিয়েল এস্টেট ওয়েবসাইট ডোমাইন ডটকমের তথ্যমতে, ২০১৮ সালে সিডনিতে ৩০ হাজার ৮৮৮ নতুন ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। ২০১৯ সালের প্রথম তিন মাসে যোগ হয়েছে ১ হাজার ৯৪৮টি এবং এ বছর আরও আসছে ১৯৪ হাজার ফ্ল্যাট।

দেশটির অন্যতম সংবাদপত্র ‘সিডনি মর্নিং’ হেরাল্ডের সাংবাদিক নিগেল গ্ল্যাডস্টোন তাঁর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, গত ১৫ বছরে সিডনিতে এবারই ভাড়া বাড়ির ভাড়ার হার সবচেয়ে বেশি নেমে গেছে। মধ্যম বাড়ির ভাড়া ৩ দশমিক ৬ শতাংশ কমে গিয়ে সপ্তাহপ্রতি ৫৩০ ডলার হয়েছে। ইউনিটের ভাড়া ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৫২৫ ডলার হয়েছে।

ভাড়া বাড়ির চাহিদা সবচেয়ে কম বহুতল ভবনগুলোতে। বাজার বিশ্লেষকেরা বাড়ি কেনার সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এবিসি নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্পত্তি বিশ্লেষক লুইস ক্রিস্টোফার বলেন, এ সময়ে অনেক লোভনীয় সুবিধা দেওয়া হয়। তবে এর আড়ালে কম দামের বদলে বাড়তি দাম চাওয়া হয়।