রোমে গ্রীষ্মকালীন আনন্দমেলা

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের একটি মুহূর্ত
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের একটি মুহূর্ত

ইতালির রাজধানী রোমে অত্যন্ত জাঁকজমক ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে হয়ে গেল তিন দিনব্যাপী গ্রীষ্মকালীন আনন্দমেলা। বাংলাদেশ সমিতির আয়োজনে রোমের সেন্তসেল্লের মাঠে ১২, ১৩ ও ১৪ জুলাই (শুক্র, শনি ও রোববার) এই আনন্দমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তব্য দিচ্ছেন আবদুস সোবহান সিকদার
বক্তব্য দিচ্ছেন আবদুস সোবহান সিকদার

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার। তিনি বেলুন উড়িয়ে ও আতশবাজি ফোটানোর মধ্যে দিয়ে মেলার উদ্বোধন করেন। বক্তব্যে তিনি এই আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সমিতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত রেখে বিদেশিদের কাছে দেশীয় সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

মেলায় রংবেরঙের সাজে প্রবাসীরা
মেলায় রংবেরঙের সাজে প্রবাসীরা

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি আফতাব ব্যাপারী। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল আলম। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি কে এম লোকমান হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব হোসেন, আওয়ামী লীগের ইতালি শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল, সহসভাপতি রব ফকির ও হাজি মো. জসিম উদ্দিন, বিএনপির ইতালি শাখার সাধারণ সম্পাদক ঢালি নাসির উদ্দিন, ভেনিস থেকে আগত ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া ও আবু সাইদ এমডি রিয়াজ প্রমুখ।

মেলায় রংবেরঙের সাজে প্রবাসীরা
মেলায় রংবেরঙের সাজে প্রবাসীরা

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোমের কমিউনিটিতে অবদান রাখায় কয়েকটি সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সম্মাননা পদক বিতরণ
সম্মাননা পদক বিতরণ

রোমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নারী-পুরুষ ও শিশুরা এই মেলায় অংশগ্রহণ করে অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে।

সম্মাননা পদক বিতরণ
সম্মাননা পদক বিতরণ

আনন্দমেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাহবুব প্রধান, নয়না আহমেদ ও শামিমা পপি। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে আগত নুরজাহান শিল্পী ও সামস তামান্না, ইতালির বলোনিয়া থেকে আগত মানসিব, ভেনিস থেকে আগত শাকিলসহ স্থানীয় শিল্পী কাজী জাকারিয়া, তাহেরুল ইসলাম, পুতুল, আতিক হাজারি, রত্না বসাক, মুরাদ খান, নিষিতা সংগীত পরিবেশন করেন। এ ছাড়া শিশুরা নৃত্য পরিবেশন করে।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

মেলায় ছিল বাঙালি বিভিন্ন খাবারের স্টল। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এই মেলা। শেষ দিনে লাকি কুপনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।