নাইরোবিতে রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী উদ্যাপন

বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনা
বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনা

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উজ্জ্বল দুই নক্ষত্র বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আপন সৃষ্টির আলোয় তাঁরা হয়ে আছেন বাঙালির অসাম্প্রদায়িক ও সাম্যবাদের চেতনার আঁধার। বাংলা সাহিত্যের অমর এই দুই সাহিত্যিক একই সঙ্গে দিয়ে গেছেন মানবতা ও জাগরণের পথের দিশা। তাঁদের গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ও গান হয়ে আছে বাঙালির প্রেরণার উৎস।

বাঙালির মননের পথিক এই দুই মহান ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করেছেন কেনিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি ও ভারতীয় বাঙালিরা। বৃহৎ পরিসরে এবারই প্রথম কেনিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিরা ওপার বাংলার বাঙালিদের সঙ্গে যৌথভাবে জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন। গত ৭ জুলাই রোববার নাইরোবির মহারাষ্ট্র মণ্ডল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

জন্মজয়ন্তীর এ অনুষ্ঠান সাজানো হয় দুই পর্বে। প্রথম পর্বে ভারতীয় শিল্পীরা নৃত্যনাট্যের মাধ্যমে রবীন্দ্র সাহিত্যের নারী চরিত্রগুলো চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলেন। দ্বিতীয় পর্বে তানিয়া খানম অনামিকার নেতৃত্বে বাংলাদেশি শিল্পীরা গান, কবিতা ও নাচে নজরুলের প্রার্থনা, প্রেম ও দ্রোহ উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া কেনিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সায়েম আহমেদ দরাজ গলায় ‘বিদ্রোহী’ কবিতা আবৃত্তি করে সবাইকে বিমোহিত করেন।

ভারতের বাঙালিদের পরিবেশনা
ভারতের বাঙালিদের পরিবেশনা

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেনিয়ায় নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার সুনীল ডি সিলভা, বাংলাদেশ হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সায়েম আহমেদ ও ভারতীয় হাইকমিশনের ডিফেন্স অ্যাটাশে নীতেশ গর্গ। অতিথিদের সহধর্মিণীরা মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করেন।

নজরুলসংগীত পরিবেশনা
নজরুলসংগীত পরিবেশনা

কেনিয়া বেঙ্গলি কালচারাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও দুই বাংলার শিল্পীদের অংশগ্রহণে রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী উদ্‌যাপন কেনিয়াপ্রবাসী সব বাঙালির মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। ভবিষ্যতে এ রকম আরও অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে বলে বাংলাদেশ হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন সায়েম আহমেদ
বক্তব্য দিচ্ছেন সায়েম আহমেদ