দাবানলে জ্বলছে পর্তুগালের কাস্টেলো ব্রাঙ্কো

দাবানলে জ্বলছে পর্তুগালের কাস্টেলো ব্রাঙ্কো। ছবি: সংগৃহীত
দাবানলে জ্বলছে পর্তুগালের কাস্টেলো ব্রাঙ্কো। ছবি: সংগৃহীত

টানা তৃতীয় দিনের মতো দাবানলে জ্বলছে পর্তুগালের কাস্টেলো ব্রাঙ্কো জেলা। গ্রীষ্মকালীন ভয়াবহ এই দাবানলে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রায় ১ হাজার ৮০০ দমকল বাহিনী, ১৯টি হেলিকপ্টার, ১০০টি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি।

অগ্নিদগ্ধ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে রাজধানী লিসবনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া আটজন দমকলকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। রাজধানী লিসবন থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরত্বে সংঘটিত হয়েছে এই দাবানল। কাস্টেলো ব্রাঙ্কো জেলা সেন্ট্রাল পর্তুগাল হিসেবে পরিচিত।

ধারণা করা হচ্ছে, সিগারেটের আগুন থেকে এ দাবানলের সূত্রপাত। দাবানলে কাস্টেলো ব্রাঙ্কো এলাকার একটি জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের।

পর্তুগালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদুয়ার্দো কাবরিতা বলেছেন, ‘কাস্টেলো ব্রাঙ্কো অঞ্চলের দাবানল এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবে পূর্বপ্রস্তুতির পাশাপাশি আমরা দাবানল নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’ তিনি আরও বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেউ সেখানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কি না, কর্তৃপক্ষ সেটিও খতিয়ে দেখছে।

পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দে সোসা এক বার্তায় বলেন, ‘বীরত্বের সঙ্গে যাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছেন তাঁদের কাজের প্রতি সংহতি ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করছি।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ব্যাপক দাবানলে পর্তুগালে প্রাণ হারায় শতাধিক মানুষ। এরপর দাবানল নিয়ে সতর্ক অবস্থানে যায় পর্তুগাল। দুর্যোগ মোকাবিলায় নেওয়া হয় বেশ কিছু কার্যকর উদ্যোগ। এর ফলে ২০১৮ সালেও ভয়াবহ দাবানল সংঘটিত হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে পর্তুগালের পার্বত্য বনাঞ্চলগুলোতে ধারাবাহিক দাবানল সংঘটিত হয়ে থাকে।