টরন্টোয় বাঙালির ঈদ

ঈদ উপলক্ষে মেহেদি উৎসব
ঈদ উপলক্ষে মেহেদি উৎসব

কানাডার টরন্টোয় কোরবানি ঈদের আমেজটা একটু ভিন্ন। বিশেষ করে বাঙালির। এখানে পশুর হাট নেই। কোথাও গরু বা খাসি কোরবানি দেওয়ার আওয়াজ নেই। রাস্তায় এক ফোঁটা রক্ত নেই। কিন্তু এখানে কোরবানি দিয়ে থাকেন অধিকাংশ বাংলাদেশি কানাডীয়।

কোরবানি দেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বাংলাদেশি মালিকানাধীন মুদি দোকান বা গ্রোসারিতে গিয়ে নিজের নাম দিয়ে আসা। এরপর ঈদের দিন সন্ধ্যায় অথবা পরদিন গিয়ে কোরবানির মাংস নিয়ে আসা।

রোজার ঈদের মতো এবার কোরবানি ঈদের আগের রাতে অর্থাৎ ১০ আগস্ট শনিবার বাংলাদেশি অধ্যুষিত ডেনফোর্থ এলাকায় মানুষের ঢল নামে। এখানে পরিচিতজনেরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। চেয়ার-টেবিল ফেলে মেহেদির আলপনা আঁকে কিশোরী-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের নারীরা। গ্রোসারিগুলোতে ছিল কেনাবেচার সারিবদ্ধ লাইন। মধ্যরাতেও জমজমাট ছিল বাঙালি পাড়া।

ডেন্টোনিয়া পার্কে ঈদের জামাতের একাংশ
ডেন্টোনিয়া পার্কে ঈদের জামাতের একাংশ

ঈদের দিন (রোববার) সকালে জমজমাট ছিল টরন্টোর সড়কগুলো। ঈদের পোশাক পরে মুসলিমরা ঈদের নামাজে শরিক হয়েছেন বিভিন্ন মসজিদ ও মাঠে। ঈদের নামাজে সবচেয়ে বেশি বাঙালি সমবেত হয়েছিলেন টরন্টোর ডেন্টোনিয়া পার্কের ঈদের জামাতে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রায় পাঁচ হাজার নারী-পুরুষ এখানে উপস্থিত ছিলেন।

স্ট্যাটিসটিকস কানাডার হিসাবে টরন্টোয় মুসলমানদের সংখ্যা দুই লাখের বেশি (৭ দশমিক ৭ শতাংশ)। এখানে সবচেয়ে ক্রমবর্ধমান ধর্ম ইসলাম। মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঈদের দিন সরকারি ছুটির ঘোষণার দাবিটাও বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলে টরন্টোয় ঈদের আমেজটা আরও অনেকগুণ বাড়বে বলে মনে করেন অধিকাংশ মুসলিম। তখন টরন্টোয় বাঙালির ঈদটা শুধু আনন্দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, উৎসবেও রূপ নেবে।