বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাবাব ফাতিমা
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাবাব ফাতিমা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীনতার রূপকার ও অবিসংবাদিত অকুতোভয় নেতা। যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল। তিনিই যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ নির্মাণে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছিলেন। দ্রুততম সময়ে জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় ও তাঁদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।

জাপানে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ শ্রদ্ধা আর ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। শোক দিবসের দিনব্যাপী আয়োজন দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাপানি নাগরিকেরা
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাপানি নাগরিকেরা

বুধবার (১৫ আগস্ট) সকালে রাজধানী টোকিওতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যে দিয়ে শোক দিবসের প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা ও তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।

দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাপানি ও বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা পর্বে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও কর্মময় জীবন ও শোক দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন রাষ্ট্রদূত। আলোচনায় অংশ নেন জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাউথ-ওয়েস্ট এশিয়া বিভাগের পরিচালক শোগো ইয়োশিতাকে ও জাপানপ্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশি।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাবাব ফাতিমা
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাবাব ফাতিমা

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তাঁর আদর্শের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে আরও বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ও নির্দেশনা আমাদের পথ চলার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। তাঁর দেখানো পথ ধরেই তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছেন।

শোগো ইয়োশিতাকে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতির শ্রদ্ধা জানান ও জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন।

দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা
দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা

আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। পরে উপস্থিত জাপানি নাগরিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম আর জীবন-কর্ম নিয়ে ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি