বাঙালির ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় ১৫ আগস্ট
যথাযথ মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধায় সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। এ সময় দূতাবাসের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, কমিউনিটির নেতারাসহ বিভিন্ন পেশার অভিবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। এরপর বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন ও স্থানীয় প্রবাসীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আলোচনার শুরুতে শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠের পর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ড. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, জাতির পিতার পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও তাঁর স্বপ্ন, আদর্শ, চেতনা ও মূল্যবোধ ছড়িয়ে পড়েছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।
নজরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ তুলে ধরার আহ্বান জানান।
তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশের উন্নয়নে এবং যেকোনো প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান। তিনি বৈধ ভিসা ও প্রবাসে কাজের অবস্থা, বেতনসহ অন্যান্য সুবিধাদি জেনে বিদেশে আসার জন্য দেশের মানুষকে সচেতন করার আহ্বান জানান।
দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান ড. ফরিদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও বক্তব্য দেন।
আলোচনার পর বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদতবরণকারী সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। পরে দূতাবাসের অডিটরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি