সিঙ্গাপুরে বিনম্র শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান

সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ বাংলাদেশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিতি
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিতি

বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য ভূমিকা ও দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের কথা শ্রদ্ধাচিত্তে স্মরণ করেন। তাঁরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতের বর্বর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জ্ঞাপন করেন।

মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে খুনিরা এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মূল্যবোধ ও প্রজ্ঞা যুগ থেকে যুগান্তরে বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে, তা বঙ্গবন্ধুর শান্তি ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি বলে হাইকমিশনার মন্তব্য করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ত্যাগী ও সংগ্রামী জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

এর আগে বঙ্গবন্ধুর জীবন, রাজনৈতিক সংগ্রাম ও সরকারের কর্মকাণ্ডের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

সকালে কর্মসূচির শুরুতে সিঙ্গাপুরপ্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ করা হয়। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকদের বুলেটে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা ও দেশের সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি