বঙ্গবন্ধু জাতি গঠনের কুশলী কারিগর ছিলেন
বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার আপামর জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধু কেবল স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাই ছিলেন না, জাতি গঠনের কুশলী কারিগরও ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে মাত্র সাড়ে তিন বছরে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ অবকাঠামো ও সমাজ বিনির্মাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় মর্মে তিনি যে ঘোষণা দিয়ে গেছেন, তা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
ইরানের রাজধানী তেহরানে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার।
দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালন করেছে। ১৫ আগস্ট সকালে দূতাবাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ, শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিকের ওপর আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত বিগত কয়েক বছরের সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদাহরণ তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাঁর ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১-এর আওতায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য সচেষ্ট হতে উপস্থিত সবাইকে আহ্বান জানান। তিনি জাতির পিতার জীবনীর বিভিন্ন দিকের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি উপস্থিত সবাইকে যাঁর যাঁর নিজ নিজ অবস্থান থেকে জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে কাজ করে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
সভায় সিনিয়র সাংবাদিক এজাজ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গতিশীল বাংলাদেশের অগ্রগতি থামিয়ে দিতেই চক্রান্তকারীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নতির মহাসড়ক ধরে এগিয়ে চলেছে।
আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মো. সবুর হোসেন ও পিএইচডি গবেষক মো. হেদায়েত উল্লাহ।
এ ছাড়া সাংবাদিক ও ছড়াকার সৈয়দ মুসা রেজা বঙ্গবন্ধুর ওপর স্বরচিত ছড়া পাঠ করে শোনান। সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয়প্রধান মো. হুমায়ূন কবির।
সভায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রবাসী, ইরানি নাগরিক, তেহরানে অধ্যয়নরত বাঙালি শিক্ষার্থী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি