বঙ্গবন্ধুর অভাব কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়

জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়
জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়

পোল্যান্ডে বিনম্র শ্রদ্ধায় পালন করা হয়েছে পৃথিবীর মানচিত্রে প্রিয় বাংলাদেশকে স্থান করিয়ে দেওয়ার মূল কারিগর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। দেশটির রাজধানী ওয়ারশে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিবসটি পালন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে তাঁর বৈশ্বিক কূটনীতির দুটি অতুলনীয় উদাহরণ তুলে ধরেন। তাঁর উল্লেখ করা মাত্র দুটি উদাহরণ থেকেই আমরা বুঝতে পারি বাঙালি জাতির কী অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে ১৫ আগস্টের এই কলঙ্কজনক ও জঘন্য হত্যাকাণ্ডের কারণে। বঙ্গবন্ধু শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন প্রজ্ঞাবান, দূরদর্শী, মমতাময়ী ও আবেগপ্রবণ বিশ্বনেতা। তাঁর অভাব কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়। কিন্তু তিনি যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন আমাদের, প্রবাসী বাঙালিরা সেই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন বলে রাষ্ট্রদূত মনে করেন।

মাহফুজুর রহমান পোল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশের উন্নয়নে আরও বেশি করে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের এই ভূমিকা, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার বাস্তবায়ন, তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের পথকে আরও সুদৃঢ় করবে।

জাতীয় শোক দিবসে দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়
জাতীয় শোক দিবসে দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়

জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল স্থানীয় সময় সকাল ছয়টায় দূতাবাস চত্বর ও রাষ্ট্রদূত ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ।

দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম অবদানের কথা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করেন উপস্থিত প্রবাসী বাঙালিরা। অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয় বঙ্গবন্ধুর জীবন অবলম্বনে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়ে চিরদিন’। এ চলচ্চিত্র শুধু নতুন প্রজন্মের জন্য নয়, বরং উপস্থিত অনেকের কাছেই তথ্যবহুল ও আরও একবার নতুন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রজ্ঞা, দেশপ্রেম, বাঙালি জাতির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় করিয়ে দেয়।

রাষ্ট্রদূত স্বল্পদৈর্ঘ্য এই চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করায় প্রবাসী বাঙালিরা বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর নিঃস্বার্থ অবদান, তাঁর অপরিসীম ত্যাগ, দূরদর্শিতা ও বাক্‌রুদ্ধ করা আবেগ নিষ্পলক দৃষ্টিতে অবলোকন করেন।

জাতীয় শোক দিবস পালনের পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয়প্রধান অনির্বাণ নিয়োগী।