বাঙালির পরিচয় বঙ্গবন্ধুর নামের সঙ্গে যুক্ত

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ

মরিশাসের বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে ১৫ আগস্ট রাজধানী পোর্ট লুইসে হাইকমিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, বিশেষ মোনাজাত, এক মিনিট নীরবতা পালন, বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও বর্ণাঢ্য কর্মবিষয়ক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মরিশাসের ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লির স্পিকার মিসেস শান্তি বাই হুনুমানজি।

সভায় শান্তি বাই হনুমানজি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাঙালি জাতিগোষ্ঠী ও স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কঠিন সংগ্রামের দিকগুলো তুলে ধরে বলেন, বাঙালির পরিচয় আজীবন তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। আজকের বাংলাদেশের যে আর্থসামাজিক উন্নয়ন, তা বিশ্ব সম্প্রদায়েরও নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। এ অর্জন সম্ভব হয়েছে শুধু প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নীতি ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে।

বক্তব্য দিচ্ছেন শান্তি বাই হুনুমানজি
বক্তব্য দিচ্ছেন শান্তি বাই হুনুমানজি

রেজিনা আরও বলেন, সরকার সব সময় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করে থাকে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের জন্য প্রবাসীদের সাহায্য ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে এবং সবাই মিলে ভিশন ২০২১ ও ২০৪১-এর লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাবে।

সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সব সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে প্রধান অতিথি ও হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ ছাড়া হাইকমিশনের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান।

অনুষ্ঠানে পোর্ট লুইসের লর্ড মেয়র মাহফাজ মুসা, দেশটিতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওশিহারো কাতো, ভারতীয় দূতাবাসের কাউন্সেলর গয়ান সিং, বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিক, জাতিসংঘের সমন্বয়ক, জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থার প্রধান, ইন্ডিয়ান ওসান রিম অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব, বিভিন্ন ইসলামিক সংস্থার প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মরিশাসের ব্যবসায়ী, হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাঁদের পরিবারসহ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য দিচ্ছেন রেজিনা আহমেদ
বক্তব্য দিচ্ছেন রেজিনা আহমেদ

এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৪ আগস্ট কিউপিপের একটি শিশু আশ্রয়কেন্দ্রে সবাইকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে আপ্যায়ন করা হয়। সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করে।

হাইকমিশনার শিশুদের কাছে বঙ্গবন্ধুকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং তাঁর জীবন সংগ্রামসহ বাঙালি জাতির অভ্যুদয়ে তাঁর অবদানের কথা সহজ সরল ভাষায় গল্পের মতো করে বর্ণনা করেন। তিনি শিশুদের জন্য ইংরেজি ভাষায় মুদ্রিত ‘মুজিব’ বই থেকে পড়ে শোনান ও তাঁদের বইটি উপহার দেন। আশ্রয়কেন্দ্রের শিশুরা অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করে। বিজ্ঞপ্তি