বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার

ডেনমার্কে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মোহাম্মদ আবদুল মুহিত
ডেনমার্কে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মোহাম্মদ আবদুল মুহিত

ডেনমার্কের বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। ১৫ আগস্ট সকালে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

বিকেলে রাজধানী কোপেনহেগেনে দূতাবাস মিলনায়তনে দিনটি উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশটিতে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা আলোচনা অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন।

বক্তারা তাঁদের আলোচনায় জাতির পিতার জীবনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর ওপর আলোকপাত করে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির জীবনদর্শন থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যারা স্বাধীনতার আদর্শ ও চেতনাকে চিরতরে মুছে দিতে চেয়েছিল, তাদের সব চক্রান্ত নস্যাৎ করে এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তাঁরা।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত তাঁর বক্তব্যে জাতির জনকের চরিত্রের উল্লেখযোগ্য ও অনুকরণীয় দিক সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে ও মহানুভবতায় বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি আরও বলেন, বাঙালির দীর্ঘ স্বাধীনতাসংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও তাঁর নেতৃত্বগুণের ফলেই পাকিস্তানি শাসকদের করাল থাবা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল।

ডেনমার্কে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় উপস্থিতির একাংশ
ডেনমার্কে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় উপস্থিতির একাংশ

তিনি ১৫ আগস্টের ভয়াল রাতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার-পরিজনদের নির্মম হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানান। রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার স্বপ্ন ও আদর্শকে সামনে রেখে একটি অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এ ছাড়া জাতির পিতার মহান কর্মজীবনের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি