ইরানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করছেন দেশটিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার
প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করছেন দেশটিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার

ইরানে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। গতকাল রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় দুপুরে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে রাষ্ট্রদূত তাঁর পরিচয় পেশ করেন।

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও সৌহার্দ্যের সঙ্গে পরিচয়পত্র গ্রহণ করে বলেন, ইরান ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ সম্পর্ক বিশেষ করে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক তথা দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠতর হবে।

হাসান রুহানি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে তাঁর শুভেচ্ছা জানানোর অনুরোধ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনকালে ওআইসির উচ্চপর্যায়ের কন্টাক্ট গ্রুপের এক সভায় সাক্ষাতের স্মৃতিচারণা এবং বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁর ও বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য ইরান সরকারের অব্যাহত সহযোগিতার কথা বলেন এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।

রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সালাম ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে জানান, তিনি তাঁর এবং ইরানের সরকার ও জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বার্তা বহন করছেন। তিনি বলেন, বিদ্যমান ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য ইরান সরকারের সহযোগিতার ভিত্তিতে তিনি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি, কানেক্টিভিটি, পর্যটন, নীল অর্থনীতি, জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসা ও বাণিজ্য সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে। পরিপূরকতা কাজে লাগিয়ে দুই দেশের জনগণ এতে উপকৃত হতে এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বেসরকারি খাত বিশেষ অবদান রাখতে পারে।

তিনি বেসরকারি পর্যায়ে সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ এবং দুই দেশের উদ্যোক্তা ও যুবসমাজের সহযোগিতা এবং নানামুখী প্রকল্প, উদ্যোগ ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকবেন বলে জানান।

রাষ্ট্রদূত ইরানের প্রেসিডেন্টকে রোহিঙ্গাদের প্রতি সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং ইরানে তাঁর কার্যকালের সাফল্য কামনা ও তাঁর কাজে ইরান সরকারের সহযোগিতা থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন। বিজ্ঞপ্তি