সিরিয়ান শরণার্থী পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

জাতীয় শোক দিবসে তুরস্কের আঙ্কারায় সিরিয়ান শরণার্থী পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়
জাতীয় শোক দিবসে তুরস্কের আঙ্কারায় সিরিয়ান শরণার্থী পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়

জাতীয় শোক দিবস ও বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাস তুর্কি রেড ক্রিসেন্টের (তুর্ক নিজেই) সহযোগিতায় দেশটির রাজধানী আঙ্কারায় বসবাসরত ১০০ দুস্থ সিরিয়ান শরণার্থী পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। ১৫ আগস্ট সকালের কর্মসূচিতে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ সময় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী ও তুর্কি রেড ক্রিসেন্টের আঙ্কারা শাখার প্রেসিডেন্ট হামদি সিজাক এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এ কর্মসূচি তুর্কি রেড ক্রিসেন্টের সামাজিক প্রচারমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পায়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিবছর জাতীয় শোক দিবসে সিরিয়ার শরণার্থীদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে আসছে।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিকেলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে রাজধানী আঙ্কারার স্থানীয় এক হোটেল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, বাঙালি জাতির কল্যাণে ও তাদের অধিকার নিশ্চিতকল্পে বঙ্গবন্ধু আমৃত্যু নিরলস পরিশ্রম এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করে শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতাই এনে দেননি, বরং স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং বাঙালি জাতির মূল্যবোধ, আদর্শ ও লক্ষ্য প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।

আলোচনা সভা
আলোচনা সভা

রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনাকে বাংলাদেশের আপামর জনতার মন থেকে যেমন মুছে ফেলতে পারেনি, তেমনিভাবে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ আজ একটি সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোর জন্য রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আঙ্কারার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তা শেখ আহাদুজ্জামান। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর লিখিত প্রবন্ধ ও কবিতা পাঠ করা হয়।

শেষে, শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান ও যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে তুরস্কে পালন করা হয়েছে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী। ১৫ আগস্ট সকালে রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

বিকেলে আলোচনা পর্বের শুরুতে জাতির জনক ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে সংঘটিত বিয়োগান্ত ঘটনায় সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবন ও অর্জনের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি