টরন্টোয় সবজিবাগান দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা
প্রায় প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় সবজিবাগানে সময় কাটান কামাল মোস্তফা হিমু। তাঁর স্ত্রীও। এই গ্রীষ্মে টরন্টোয় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেছেন। সফলও হয়েছেন। টরন্টোর ৫০ জনেসভিল ক্রিসেন্টে তাঁর দুটি সবজিবাগান।
সিটি অব টরন্টোর বরাদ্দকৃত এই স্থানে প্রায় ২০০ প্লট আছে। আগ্রহীরা গ্রীষ্মকালে এখানে সবজি চাষ করেন। প্রতিটি বাগান এখন সবজিতে ভরপুর। কামাল মোস্তফা হিমুর বাগানও। টরন্টোয় সবজিবাগান দেখে মুগ্ধ পরিদর্শনে আসা বাঙালি দর্শনার্থীরা।
সরেজমিনে এসব সবজিবাগান পরিদর্শনের এক কর্মসূচির আয়োজন করেছিল কানাডিয়ান সেন্টার। ১৭ আগস্ট আয়োজিত এ কর্মসূচিতে প্রায় ২৫ জন বাংলাদেশি কানাডিয়ান অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীদের সরেজমিনে এসব প্লটে সবজি চাষবিষয়ক তথ্য প্রদান করেন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি অ্যাগ্রিকালচারিস্ট ইন কানাডার (আবাকান) প্রেসিডেন্ট কামাল মোস্তফা হিমু। এ সময় আবাকানের কয়েকজন সদস্য ও কানাডিয়ান সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ইমাম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
সবজিবাগান দেখে মুগ্ধ হয়েছেন রেহানা বানু। সত্তরোর্ধ্ব এই নারী বলেন, ‘বাংলাদেশি লাউ, টমেটো ও বিভিন্ন শাকসবজির ভালো ফলন যে এ দেশেও সম্ভব, তা দেখে খুবই ভালো লাগছে। না এলে বুঝতেই পারতাম না।’ রোকেয়া মুনির এই সবজিবাগানগুলো দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন বেশ কিছুদিন। আয়োজকদের বারবার ফোন করে সময়, দিন ও স্থানটি সম্পর্কে আগেই জেনে নিয়েছিলেন। তিনিও বেশ খুশি সবজিবাগান পরিদর্শন করে। সবজিবাগান পরিদর্শনে আসা ফজলুল হক বলেন, ‘আমার একটা প্লট এখানে চাই। সিটির কাছ থেকে বরাদ্দ পেলে ভবিষ্যতে আমি নিজেও এখানে সবজি চাষ করব।’
কানাডিয়ান সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সবজি চাষের বিষয়টা জনপ্রিয় করতে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো টরন্টোতে একটি সবজি মেলার আয়োজন করা হবে। থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। মেলা আয়োজনে আবাকান পার্টনার হিসেবে থাকবে বলে জানান এর প্রেসিডেন্ট কামাল মোস্তফা হিমু। ৩০৭৯ ডেনফোর্থ অ্যাভিনিউর অ্যাকসেস পয়েন্টে অনুষ্ঠেয় এ মেলায় অ্যাকসেস অ্যালায়েন্সও পার্টনার হিসেবে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সবজি মেলায় অংশ নিতে আগ্রহীরা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৪৩৭-২৪৬-৯৩৮০ ফোন নম্বরে অথবা <[email protected]> ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারেন। বিজ্ঞপ্তি