ভিয়েনায় একুশে আগস্ট স্মরণে সভা

ভিয়েনায় একুশে আগস্ট স্মরণে আলোচনা সভা
ভিয়েনায় একুশে আগস্ট স্মরণে আলোচনা সভা

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অস্ট্রিয়া শাখার উদ্যোগে ভিয়েনার মারিসেমেলগাসে গতকাল বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ সভা আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের সর্ব ইউরোপিয়ান শাখার সভাপতি অস্ট্রিয়াপ্রবাসী এম নজরুল ইসলাম।

বক্তব্য দেন অস্ট্রিয়া শাখার সহসভাপতি আকতার হোসেন, এ কে এম সওকত আলী, রুহী দাস সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ইমরুল কায়েস, বঙ্গবন্ধু পরিষদের অস্ট্রিয়া শাখার সভানেত্রী নাহীদ সুলতানা, গাজী মোহাম্মদ, মাহাবুব খান, জাহাঙ্গীর আলম, রফিকুল ইসলাম, সায়ীদ শেখ ও জুয়েল ঢালী প্রমুখ।

এম নজরুল ইসলাম বলেন, একুশে আগস্ট হত্যাযজ্ঞের পেছনে উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাসহ নেতাদের হত্যা ও আওয়ামী লীগকে সমূলে উৎখাত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ২০০৪ সালের হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য একটাই, ১৯৭৫ সালে এই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। ২০০৪ সালে তা ব্যর্থ হয়েছে।

এম নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতাদের হত্যাকাণ্ডে নেপথ্যের একজন ছিলেন জিয়াউর রহমান। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার নেপথ্য নায়কদের প্রধান ছিলেন জিয়াপুত্র তারেক রহমান। তিনি তারেক রহমানকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল, যা বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই তদন্তে উদ্‌ঘাটিত হয়েছে। তিনি একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

সভায় একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ নিহত ব্যক্তিদের রুহের মাগফিরাত ও আহত ব্যক্তিদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়।