দেশীয় সংস্কৃতি চালু রাখার দৃঢ় প্রত্যয়

টরন্টোয় ফেনীবাসীর বনভোজন
টরন্টোয় ফেনীবাসীর বনভোজন

কানাডার টরন্টোয় চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ফেনীবাসীর বনভোজন। গতকাল রোববার (২৫ আগস্ট) টরন্টোর স্কারবোরোর থমসন পার্কে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই বনভোজন এক জমজমাট মিলনমেলায় পরিণত হয়।

টরন্টো ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত প্রায় ২০০ ফেনীবাসী পরিবার–পরিজনসহ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারী ফেনীবাসী বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তুলে ধরা ও চালু রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

এ বছর বনভোজনের থিম ছিল ‘উৎসবে আনন্দে তরুণ’। শিশু ও তরুণদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার। এতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় যথাক্রমে উমাইমা, নিশাত ও আফ্রা। বিজয়ীদের সনদসহ পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে শিশুরা মেতে উঠে বিভিন্ন খেলাধুলায়। আয়োজন ছিল পুরুষ ও নারীদের জন্য প্রতিযোগিতার।

খেলাধুলা পর্ব শেষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা পর্ব। এতে বক্তব্য দেন ড. সদরুল হক, প্রকৌশলী মো. জাফর, জসিম উদ্দিন, মেজর (অব.) বেলায়েত, মঞ্জুরুল আলম, আজিম উদ্দিন আহমেদ, খুরশেদ খান ও ইমাম উদ্দিন।

টরন্টোয় ফেনীবাসীর বনভোজন
টরন্টোয় ফেনীবাসীর বনভোজন

মূলত, বেলা ১১টা থেকে অতিথিরা জড়ো হতে শুরু করেন বনভোজনস্থলে। সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই কানাডার ফেনীবাসীর পদচারণে অনুষ্ঠানস্থল সরগরম হয়ে ওঠে। মিলনমেলায় উপচে পড়েছিল আবেগ আর উচ্ছ্বাসের মাতাল ঢেউ। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও ফেনীবাসীর মিলনমেলার পরিবেশ ছিল প্রাণবন্ত এবং নবীন-প্রবীণ আর তারুণ্যের উচ্ছলতায় পরিপূর্ণ।

বনভোজনে মধ্যাহ্নভোজে ছিল হরেক রকমের সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। আরও ছিল র‍্যাফেল ড্র। খাবার ও আলোচনা অনুষ্ঠানের পর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও র‍্যাফেল ড্র বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, শুধু প্রতিবছর বনভোজনের আয়োজনই নয়, শিশু-কিশোরদের সম্পৃক্ত করে নিয়মিত শিক্ষা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, যাতে প্রবাসে থাকলেও তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে নিজেদের মধ্যে লালন করতে পারে।

টরন্টোয় ফেনীবাসীর বনভোজন
টরন্টোয় ফেনীবাসীর বনভোজন

অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক সহায়তায় ছিলেন খুরশেদ খান, এফ আর আল মামুন, শরিফ উদ্দিন, ইকবাল হোসেন, মাহমুদ শাহিন ও মোহাম্মদ হানিফ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি