ওআইসির সদস্য দেশগুলোর প্রতি অপুষ্টি দূরীকরণ ও ক্ষুধা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সৌদি আরবের জেদ্দায় ওআইসির খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক সংগঠনের (আইওএফএস) সম্মেলনে তিনি আজ (২৯ আগস্ট) এ আহ্বান জানান।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় ও মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খাদ্য উৎপাদনে কার্যকর নীতি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বরাদ্দ ও কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছেন। এর ফলে বাংলাদেশের খাদ্যশস্য উৎপাদন এখন প্রায় ৪০ মিলিয়ন মেট্রিক টনে পৌঁছেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ সরকার সব নাগরিকের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।’ তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ এখন নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার ওআইসির সদস্য দেশগুলোতে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইওএফএস-কে কার্যকর সংস্থা হিসেবে সঠিক রোডম্যাপের প্রস্তাব দেওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেন। উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে এই সংগঠনকে আরও কার্যকর করে তোলার মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হবে বলে খাদ্যমন্ত্রী আশাবাদ প্রকাশ করেন।
এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম, অতিরিক্ত সচিব ওমর ফারুক, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. নাজমান আরা খানম ও দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ড. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সৌদি আরবের পরিবেশ, পানি ও কৃষিবিষয়ক মন্ত্রী প্রকৌশলী আবদুল রহমান বিন আবদুল মোহসেন আল ফাদলে।
সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী কাজাখস্তানের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক মন্ত্রী ওমারোভ সাপহার খানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি খাদ্য ও কৃষি খাতে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। অধিবেশনে আইওএফএসের নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। আইএফএসের মহাপরিচালক ইয়ারলান বাইদুলেট বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খাদ্যনিরাপত্তা বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, সংগঠনটির সদর দপ্তর কাজাখস্তানের রাজধানী নুর সুলতানে অবস্থিত। এর আগে ২৭ ও ২৮ আগস্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞপ্তি