কাননে কুসুমকলি-শেষ পর্ব

ছবি: প্রথম আলো
ছবি: প্রথম আলো

আজ সকাল সকাল স্কুল যেতেই ডেকে পাঠাল অফিস থেকে। স্কুলের স্টোর রুমে ডিউটি করতে হবে। যেখানে আরও তিনজন শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছেন। অটোমেশন ফ্যাক্টরি স্টাইলে চারদিকে টেবিল সাজিয়ে প্রতিটি টেবিল থেকে একটি করে জিনিস নিয়ে একটি ম্যাটেরিয়াল প্যাক তৈরি করে ট্রাকে তোলা হচ্ছে। এই কাজের সঙ্গে ইউনিফরম পরিহিত আরও দুজন রয়েছেন, যাঁরা পুলিশের সদস্য।

একটু আশ্চর্য হলাম। পুলিশ কীভাবে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হলো! কৌতূহল নিবারণে কষ্ট হলেও প্রশ্নটা কীভাবে করি ভেবেই চুপ ছিলাম।

কিছুক্ষণ পরে সাদাপোশাকের একজন পুলিশ অফিসার হাস্যোজ্জ্বল মুখে আমার কাজের প্রশংসা করতে কাছে এগিয়ে এলেন। সেই সুযোগে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা, তোমরা এখানে কী করছ? আমাদের তো কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই। তিনিও সহাস্যে জবাব দিলেন, ‘কেন তুমি জানো না, এবারের স্পেশাল অলিম্পিক প্রোগ্রাম হোস্ট করছে পুলিশ সার্ভিস অব টরন্টো।’

ইতিমধ্যে কয়েকটি ট্রাক আনলোড হয়েছে স্কুলের ব্যাক ইয়ার্ডে, যেখানে পুলিশের সদস্যরাই মালামাল নামাতে সহায়তা ও তদারকি করছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর স্পেশাল অলিম্পিকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের জন্য সরকারি-বেসরকারি, প্রাইভেট কোম্পানি ও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক ডোনেশন সংগৃহীত হয়ে থাকে। ছাত্রছাত্রীদের থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব দ্রব্য বিভিন্ন কোম্পানি থেকেই সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আর এই ডোনেশন সংগ্রহের কাজ করে অলিম্পিকের আয়োজক প্রতিষ্ঠান।

মজার ব্যাপার হলো, অলিম্পিক গেমসের আয়োজক যে পুলিশ প্রতিষ্ঠানও হতে পারে, এমন ধারণা সত্যিই অকল্পনীয়। এখানকার পুলিশের একটি শাখা কমিউনিটি সার্ভিসের জন্য কাজ করে থাকে। জনসাধারণকে আইন ও তথ্য দিয়ে সচেতন করা থেকে শুরু করে কমিউনিটির প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও কীভাবে সুরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়, সে বিষয়ে তাঁদের কর্মপরিকল্পনা থাকে।

স্পেশাল অলিম্পিকের আয়োজক পুলিশকে হতেই হবে, বিষয়টি এমন নয়। স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের সহযোগিতা ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এটি। কীভাবে স্কুলের সঙ্গে কমিউনিটির অন্য প্রতিষ্ঠান সহভাগিতা নিয়ে পাশে থাকে, তার উদাহরণ মাত্র।

মূলত এখানকার স্কুলের সঙ্গে কমিউনিটির অন্য ছোট-বড় ব্যবসায়িক ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক অংশীদারত্ব থাকে। এর মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতায় স্কুলের জন্য তহবিল সংগ্রহ ও স্কুলের উন্নতিকল্পে নানাবিধ ছোট ছোট প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। স্কুল কর্তৃপক্ষ কেবল সরকারি তহবিলের ওপর ভরসা করে বসে থাকে না সব সমস্যা সমাধানে।

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

স্কুল কমিউনিটির সব ধরনের জ্ঞান বিকাশ, মানবিক গুণাবলি অর্জন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সূতিকাগার, যেখান থেকে শুধু শিশুরাই শেখে না, অভিভাবক হিসেবে, সমাজের একজন সচেতন মানুষ হিসেবে জনসাধারণের শিক্ষণীয়ও থাকে অনেক।

আমাদের দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে অসংগতি, অবহেলা ও গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষাদানে অপর্যাপ্ততার প্রসঙ্গ এলেই সর্বদা অঙ্গুলি নির্দেশিত হয় আমাদের অর্থনৈতিক অসামর্থ্যের দিকে। সবাই যেন বলতে ভালোবাসি, গরিব দেশ, নেই জনবল, নেই সম্পদ, নেই দক্ষতা। এতেই যেন আমাদের দায়মুক্তি। টাকাই সব সমস্যার সমাধান দেয় কি আদতে? আর সেই টাকার জোগান সর্বদা গৌরী সেনকেই (সরকার) দিতে হবে? সরকারের সঙ্গে সঙ্গে সচেতন নাগরিক, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও স্কুলের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে পারে।

গ্রীষ্মের দীর্ঘ দুই মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি থাকে। এ সময় বেসরকারি-সরকারি সব প্রতিষ্ঠানেই ছাত্রছাত্রীদের জন্য খণ্ডকালীন চাকরির ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এটি সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি সরকারি নির্দেশ এবং সবাই তা অনুসরণ করে থাকে।

এখানকার স্কুলে শিশুদের জন্য দুবেলা নাশতার ব্যবস্থা রয়েছে খুবই স্বল্প মূল্যে কিংবা বিনা মূল্যে। অপেক্ষাকৃত দরিদ্র এলাকায় দুই বেলা নাশতার সঙ্গে দুপুরের খাবারও সরবরাহ করা হয়ে থাকে। শিশুদের স্বাস্থ্য-পুষ্টির সুরক্ষা তথা শ্রেণিকক্ষে শিখন নিশ্চিতকরণেই এই আয়োজন। বছরব্যাপী সব শিশুর জন্য এই আয়োজনের সরকারি অনুদান নেই বললেই চলে। এই খাদ্য প্রকল্পের জন্য স্থানীয় সরকারি, বেসরকারি, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে তহবিল সংগৃহীত হয়ে থাকে। খাদ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সরাসরি খাবার দিয়ে সহায়তা করে থাকে। মূলত স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির একটি বড় দায়িত্ব হলো এ-সংক্রান্ত তহবিল সংগ্রহের যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।

সভ্যতার গোড়ার দিকে মানুষ নিজেদের প্রয়োজনেই স্কুল তৈরি করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্র কমিউনিটির অনেক গৃহীত উদ্যোগকে সম্মান জানিয়ে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। তাতে প্রতিষ্ঠানগুলো কাঠামোবদ্ধ ব্যবস্থাপনা লাভ করেছে এবং রাষ্ট্রও সর্বজনীন সেবাদানের নিমিত্তে আরও প্রাগ্রসর সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখার সুযোগ পেয়েছে। আমাদের দেশেও একদিন কমিউনিটির উদ্যোগে স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কালে কালে সেসব স্কুল একদিন হয়ে গেল সরকারি সম্পত্তি। প্রচলিত প্রবাদে বলা হয়ে থাকে, সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল!

এখানকার স্কুলের সুব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সঙ্গে স্কুল কমিটির জন্যও স্কুল কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে থাকে প্রাদেশিক নির্বাচনে, যেখানে জনসাধারণই তাদের স্কুল কমিটির কাউন্সিলর নির্বাচন করে থাকেন। কাউন্সিলর স্কুল কমিটির সভাপতি হিসেবে কমিটিকে সঙ্গে নিয়েই স্কুলের উন্নয়নকল্পে নিরলস কাজ করেন। এ ছাড়া রয়েছে শিক্ষক অভিভাবক কমিটি ও স্টুডেন্ট কাউন্সিল। স্কুলের পরিবেশ সুরক্ষা, বিভিন্ন দিবস উদযাপন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আয়োজন, ক্ষুদ্র তহবিল সংগ্রহ, শীত বস্ত্র সংগ্রহসহ স্কুল মাঠে বাগান করার মতো যাবতীয় দায়িত্ব পালন করে কমিটি স্কুলের সঙ্গে কমিউনিটির সম্পৃক্ততা প্রতিষ্ঠিত করে।

স্কুল বোর্ড স্কুল পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন ছাড়া প্রতিদিনের কার্যাবলিতে নাক গলায় না। বোর্ড বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা যথা স্কুলের বরাদ্দ নির্ধারণ, মেরামত ও নির্মাণ, নিয়োগ-বদলি ও কারিকুলাম পরিকল্পনা করে। স্কুলগুলো পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে। মাথার পেছনে লাঠি নিয়ে বসে থাকার জন্য এখানে টিইও, এটিইও নামের কোনো পদস্থ কর্মকর্তা নেই। এমনকি পিটিআই, কিংবা টিটিসি নামের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানও নেই শিক্ষকদের ‘শিক্ষক’ হিসেবে গড়ে তুলতে।

শিক্ষকদের ইন-সার্ভিস দক্ষতা উন্নয়নে অনলাইনভিত্তিক নানা রকম কোর্স ম্যাটেরিয়াল আপলোড করা থাকে, যা শিক্ষকেরা ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে পারেন নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে। কখনো স্কুলে স্কুলে রিসোর্স পারসনেরা প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকেন। সেসব প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য কোনো রকম বিশেষ খাবার পরিবেশন ও কোনো ভাতা প্রদানের নিয়ম নেই।

বলা বাহুল্য, ইন-সার্ভিস ট্রেনিংয়ের জন্য এ দেশের সব প্রতিষ্ঠানে একই নিয়ম। কর্মচারীরা প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে একখানা সনদ ছাড়া বাড়তি কোনো সুবিধাই পান না। প্রতিবছর আমাদের সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে কিংবা রাজস্ব খাতেও উচ্চশিক্ষা, ক্রস ভিজিট কিংবা সংক্ষিপ্ত কোর্সের মাধ্যমে বিশাল একটা বরাদ্দ ব্যয় হয়ে থাকে মন্ত্রণালয়গুলোতে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এর ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয় বোধ করি।

শিক্ষা খাতকে আরও ঢেলে সাজাতে, আধুনিকায়ন তথা গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডে উন্নীত করতে আমাদের সরকারের আদতেই কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, আমার জানা নেই। আর থাকলেও আমাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিদেশ সফরে গিয়ে জ্ঞান-দক্ষতার কী অর্জন করে ফেরেন, যা দেশের কাজে লাগে, সে বিষয়েও আমার জ্ঞান নেহাতই অল্প।

দুঃখের সঙ্গে এ কথা স্বীকার করতেই হয়, সর্বজনীন ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার ঘোষণা ১৯৯০ সালে হলেও আজতক সবার জন্য একীভূত, অবৈতনিক ও গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার ব্যবস্থা করতে আমরা যারপরনাই ব্যর্থই হয়েছি। দেশের দারিদ্র্য-দুর্যোগপীড়িত প্রত্যন্ত অঞ্চলের কথা বাদ দিলেও শহরকেন্দ্রিক সরকারি স্কুলগুলোর অবস্থাও তথৈবচ। যাঁদের সামর্থ্য আছে তাঁদের সন্তানেরা ইংরেজি মাধ্যমে, এ লেভেল, ও লেভেল পড়ছে। কিন্তু নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সেই সর্বজনীন ও প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন আজও রয়ে গেল সুদূর পরাহত।

দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে পাশ্চাত্যের অনেক কিছুই আমরা অনুসরণ ও অনুকরণ করছি। আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সত্যিই চোখে পড়ার মতো। আমাদের জিডিপির ঊর্ধ্বগতিও পৌঁছে দিচ্ছে মধ্য আয়ের দেশে। আমাদের সংস্কৃতিতে, প্রতিদিনের জীবনপ্রণালিতে; খাবার-দাবার, পোশাক পরিচ্ছদসহ যাবতীয় স্বাচ্ছন্দ্যে আমরা পাশ্চাত্যের রেফারেন্স দিয়ে থাকি অনায়াসে। তাদের স্ট্যান্ডার্ড বলে মনে করি। অথচ, শিক্ষার মতো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কেন আমাদের এতটা ঔদাসীন্য, তা আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞানে ঠাওর করতে পারি না।

প্রয়াত এরশাদ সাহেব প্রশ্ন ব্যাংকের (৫০০ নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন) সূচনা করে প্রথম বারোটা বাজিয়েছিলেন মুখস্থবিদ্যার। ইদানীং শুরু হয়েছে পরীক্ষা বাতিলের হিড়িক। পাবলিক পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে আমিও। তবে এটিই শিক্ষার আধুনিকায়ন নয়। পুরো ব্যবস্থাকেই ঢেলে সাজানো দরকার। কারিকুলাম থেকে শুরু করে শিক্ষাদান পদ্ধতিসহ স্কুলের পরিবেশ। স্কুলের সঙ্গে কমিউনিটির সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, স্থানীয় সরকারের দায়িত্বে অন্তর্ভুক্তকরণ ও স্থানীয় পর্যায়ে আয়ের উৎস চিহ্নিত করে বরাদ্দ নির্ধারণ করা সম্ভব। আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতি ও যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের জন্য আমাদের রয়েছে অনেক বিশিষ্ট, মেধাবী ও সৎ শিক্ষাবিদ; যাঁরা নিঃসন্দেহে এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেন বলেই মনে করি। দরকার শুধু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা-উদ্যোগ গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন।

পাশ্চাত্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কুসুমকলির এই পাঁচ পর্বে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতাভিত্তিক জ্ঞান ও পর্যবেক্ষণগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। এসব লেখা আদতেই কারও নজরে আসবে কি না, জানি না। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নজরে এলে এবং এই বিষয়ে তাদের সদিচ্ছা জাগ্রত হলেই এ লেখার সার্থকতা।

যত দূরেই থাকি, দেশ থাকে অন্তরে। যা কিছুই ভালো দেখি, ভাবি, আহা, এসব যদি আমাদেরও হতো! এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে আমাকে খুব কটাক্ষের সঙ্গে শুনতে হয়েছিল, ‘তুমি কি ভাবো, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড?’ সেদিন জবাব দিতে পারিনি। সেই থেকে এই শব্দগুলো গেঁথে আছে বুকের গভীরে! নয় তো, কেন নয়? কেন আমরা পিছিয়ে আছি? আমরা পাইনি বলে আমাদের সন্তানেরা তো পেতে পারে। ওদের জন্য একটি সময়োপযোগী স্ট্যান্ডার্ড শিক্ষাব্যবস্থা উপহার দিতে আমিও যদি পারি ভূমিকা রাখতে। সেই প্রত্যাশার ঘুণপোকাটা খোঁচাতেই থাকে...। ভালো থেকো সুপ্রিয় স্বদেশ। (চলবে)
---

ধারাবাহিক এ রচনার আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন