কিছুটা ভাব সাবলীল সুখ

বুক ছোঁবে খাজনা দেব না বলে
যত অনুতাপ
অগ্রাহ্য রইব অফুরান,
এই শহরে...
তারাগঞ্জ থেকে ইকরচালি
দুপুর বাড়লে নছিমন স্ট্যান্ডে
দাবিদাওয়া নিয়ে দাঁড়াব...
কুকুরছানাগুলোর জন্য রিলিফ দরকার।
ভাবছি পালাব রংপুরে
পায়রাবন্দ গ্রামে...
দেহভাণ্ড অজ্ঞান অনিশ্চয়তায় ভরা
ঝাঁকে ঝাঁকে বনটিয়া খুঁটছে ঠোঁট
ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলা স্তন
নিচের বধ্যভূমি লাঙল কষে...
কেবল তো একটা কাজই করেছি
দিন-রাত-সপ্তাহ-মাস
বছরের পর বছর
খেলা...খেলা...খেলার লড়াই
তারা নিশ্চয় অন্ধকার পরিভ্রমণ করে
আমার কাছে চায় শুধু নিবেদন...
নিবেদন...আর নিবেদন।
ওরা বন্দুক লুকায় গিরিখাদে বারুদ ভেজায়
হয় রসময় জলের উচ্ছ্বাসে।
আদর করে খোঁপা বেঁধে দেয়
শ্রোতা দেয় গোপনীয়তা দেয়
আহ্লাদে ডাকে কুসুম
তারপর হয় কুসুম ফোটার কারিগর
ভ্রূণ হয় ঝোপে ঝাড়ে
খসে পড়ে, ঘাসে ঘাসে
পাটল মাটিতে আসমুদ্র হিমাচলে
গ্রীষ্মে ফোড়াগুলো ফেটে
রক্ত ঝরে বয়ে যায় ঋজু নদীর জলে
গত মাসে লাল হয়ে ভরে ছিল পারাপার...
স্টেশন আর সামাদের
চায়ের দোকানের চেয়ার...
বুকের পর্বতগুলো ফুলে
উঠলে বড়বাজারের কুকুরগুলো
প্রথম দেখায় অভিভূত হয়।
তারপর জমিতে ঢালে বীজ
স্বস্তিতে ঘুমায় পূর্বগেটের বস্তিতে।
ওরা হুমকি দেয় বাড়ি ভাঙা হবে,
জমি ভাগাভাগি হবে
অস্থাবর সম্পত্তি নিলামে উঠবে...
কিন্তু আমি তো তৈরি নই
হিসাবে গরমিল করেছি
বাজারের বাৎসরিক লাভক্ষতি।
তবুও হালখাতা হবে।
অঙ্গহীন হাত নিয়ে
কী করে চাইব ক্ষমা
তবে স্তন ছুঁয়ে থাক
চাইব না অনুগ্রহ কিছুতেই
পোকামাকড়ের কাছে নীরবতা শিখে
দেখে যাব দূরাগত
প্রাকৃতিক দৃশ্য।---

নাজমীন মর্তুজা
নাজমীন মর্তুজা








নাজমীন মর্তুজা: অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া।