টরন্টোয় অন্য রকম সবজি প্রদর্শনী
কুতুবউদ্দিন পেশায় কৃষিবিদ। আর রউফ খান মূলত ব্যাংকার। এই গ্রীষ্মে রউফ খানের টরন্টোর বাড়ির আঙিনাটা দেশি-বিদেশি শাকসবজিতে ছিল ভরপুর। হরেক রকমের এই সবজি তিনি একে একে জমা করেন টরন্টোয় সবজি উৎপাদনকারীদের উৎসবে প্রদর্শনীর জন্য।
গত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) টরন্টোর ডেনফোর্থের এক্সেস পয়েন্টে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে রউফ খানসহ ২০ জন তাঁদের নিজ উৎপাদনকৃত সবজি প্রদর্শনীর জন্য নিয়ে আসেন। আর বিচারকমণ্ডলীর বিবেচনায় কুতুবউদ্দিন প্রথম, রাবেয়া আহমেদ দ্বিতীয় হলেও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন রউফ খান।
টরন্টোয় বেসরকারি সংস্থা কানাডিয়ান সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড নলেজ মূলত প্রথমবারের মতো সবজি উৎপাদনকারীদের এই উৎসবের আয়োজন করে। উৎসবে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। এতে পার্টনার সংগঠন ছিল আবাকান, এক্সেস অ্যালায়েন্স, বায়েস ও পেস।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপিপি ডলি বেগম, সিটি কাউন্সিলর ব্র্যাড ব্র্যাডফোর্ড, কবি আসাদ চৌধুরী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আসমা আহমেদ, ব্যবসায়ী ফরিদা হকসহ কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সাংস্কৃতিক পর্বের অন্যতম আকর্ষণ ছিল উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর টরন্টোর শিল্পীদের পরিবেশনা। দলীয় সংগীত, নাচ, আবৃত্তি ও গম্ভীরা পরিবেশন করে শিল্পীরা দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন।
টরন্টোয় কৃষিবিদদের সংগঠন আবাকানের সভাপতি কামাল মুস্তফা বলেন, ‘সত্যিই এটি একটি অসাধারণ আয়োজন, যা আমাদের অভিভূত করেছে। এই দূর পরবাসে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ।’
কানাডিয়ান সেন্টারের পরিচালক ও অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক তৌহিদা চৌধুরী বলেন, ‘সার্ভিস কানাডার সহায়তায় সাউথ এশিয়ান সিনিয়রস ফর সিনিয়রস নামে আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিই। তারই অংশ হিসেবে এই আয়োজন। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বয়স্কদের এই সামারে সবজি চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বেশ কিছু কর্মশালা পরিচালনা করেছি। সবজি চাষে উৎসাহিত করেছি। আর তাঁদের চাষকৃত সবজি নিয়ে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি।’
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ সবজি প্রদর্শনকারী তিনজনকে নগদ অর্থ, সার্টিফিকেটসহ পুরস্কৃত করা হয়। কানাডিয়ান সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভবিষ্যতেও কমিউনিটির উন্নয়নে তারা বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।