বার্লিনে হিন্দু কালচারাল সোসাইটির সর্বজনীন দুর্গাপূজা

বার্লিনে হিন্দু কালচারাল সোসাইটির দুর্গাপূজায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
বার্লিনে হিন্দু কালচারাল সোসাইটির দুর্গাপূজায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জার্মানির রাজধানী বার্লিনসহ বিভিন্ন শহরে উদ্‌যাপিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।

বার্লিনে প্রথমবারের মতো হিন্দু কালচারাল সোসাইটি আয়োজন করেছে শারদীয় দুর্গোৎসব। গতকাল শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সোসাইটির পূজামণ্ডপে সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে ঢাক, শঙ্খ, কাঁসা আর উলুধ্বনিতে চারপাশ মুখরিত করে আহ্বান জানানো হয় সব অশুভকে দমনে দুর্গতিনাশিনী দেবী মা দুর্গাকে।

বার্লিনে হিন্দু কালচারাল সোসাইটির দুর্গাপূজায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
বার্লিনে হিন্দু কালচারাল সোসাইটির দুর্গাপূজায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

পূজা উদ্‌যাপন কমিটির পক্ষ থেকে গোবিন্দ পাল ও কাবেরী ওট বার্লিনে প্রথমবারের মতো পূজার আয়োজন করতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে মানুষে মানুষে সুন্দর এক পৃথিবী গড়তেই মা দুর্গার আগমন। সব অশুভ শক্তিকে জয় করতেই মা দুর্গার ধরাতলে আগমন।

পুজোয় আসা বেশকজন ভক্ত জানান, সর্বজনীন এই পূজায় এসে দেবীর আরাধনা করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। দেশ ও বিদেশের সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানান তাঁরা। তাঁদের সবার আশা, মা দুর্গার আশীর্বাদে জগৎ হবে প্রেম ও শান্তিময়।

পূজামণ্ডপে পূজারিদের একাংশ
পূজামণ্ডপে পূজারিদের একাংশ

গতকাল দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল শান্তিজল গ্রহণ, আরতি, নবপত্রিকা, অধিবাস ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্থানীয় জার্মানসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ভক্তরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন কবি দেবাশীষ তেওয়ারি, শিল্পী শংকলিতা মণ্ডল, প্রিয়া ভট্টাচার্যসহ আরও অনেকে।

বিজয়া দশমী পর্যন্ত দেবীবন্দনা, আরতি ছাড়াও পূজামণ্ডপ প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে নাচ, গান, জাদুসহ নানান সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। সর্বজনীন এই দুর্গোৎসবে ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে সবাই অংশগ্রহণ করবেন, এমনটাই আশা ভক্ত ও পূজারিদের।