বুয়েটে ভয়ংকর র‍্যাগিংয়ের নেপথ্যে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)

আমি একজন হতভাগ্য বুয়েটিয়ান ও সৌভাগ্যবান প্রাক্তন বুয়েট শিক্ষক।

হতভাগ্য বুয়েটিয়ান কেন বলছি, সেটা আশা করি সবাই এই দুই দিনে জেনে গেছেন। সৌভাগ্যবান বলছি, কারণ আমি বুয়েটে শিক্ষকতা করেছি অনেক বছর আগে অল্প সময়ের জন্য।

শিক্ষক জীবনের একটা বিষয়ের প্রতিই আমার লোভ ছিল। সেটা হলো, শিক্ষকদের প্রতি ছাত্রছাত্রীদের সম্মান। বুয়েটের শিক্ষকের পদ ছেড়ে এসে আফসোস হয়েছে সেই সম্মানটা আর কখনোই পাব না। তবে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আমার সেই শখ মিটে গেছে। কেন সেটাই আজ বলব।

বুয়েটের বেশ কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গেই আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে ও ছিল। তাঁদের বেশির ভাগের কাছ থেকে আমি যেসব হতাশার কথা শুনেছি, সেই কষ্ট একজন শিক্ষকের জন্য দুর্বিষহ।

ছাত্রদের চরম নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে। মূল্যবোধ নেই বললেই চলে। বুয়েটে শিক্ষাগত মান হ্রাস পেয়েছে। ছাত্ররা শিক্ষকদের একদম সম্মান করে না। করবেই বা কেন? বুয়েট তো দেশের বাইরে না।

এখানেও নিজেদের বিক্রি করে দেওয়া একদল শিক্ষক আছেন। যাঁরা রাজনৈতিক ক্ষমতার ছায়ায় থাকা ছাত্রদের তোয়াজ করে পদোন্নতি, সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। এই শিক্ষকেরা অন্য শিক্ষকদেরও হয়রানি করছেন ও দমিয়ে রাখছেন।

রাজনৈতিক মদদপুষ্ট ছাত্ররা তো একেকজন ডন। এক কথায় এসব ক্ষমতাশালী ছাত্ররাই চালাচ্ছেন ক্যাম্পাস।

বুয়েট ও এর হলগুলো অবস্থার চরম অবনতির কথা জানতে পারি, বুয়েটের একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে কয়েক বছর আগে। ২০১৫ সালে কিছু কানাঘুষার মাধ্যমে বেরিয়ে আসে সব ভয়াবহ ঘটনা। র‍্যাগের নামে ছাত্রদের কী সাংঘাতিক শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হয় সেসব চিত্র। শিউরে ওঠার মতো ঘটনা।

আমাকে সে সময় সে গ্রুপে কিছু সিনিয়র বিভিন্ন ঘটনা জানিয়ে এ সম্পর্কে লিখতে অনুরোধ করেন। বুয়েটের শিক্ষকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু এসব অপরাধীর হাত অনেক লম্বা। আমার মতো দুই-চারজনের লেখা অরণ্যে রোদন হতো। অনেক শিক্ষকের কাছেও শুনেছি তাঁদের অসহায়ত্বের কথা।

সে সময় কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের একজন শিক্ষকের কাছ থেকে জানতে পারি, তাঁর বিভাগের অন্তত একজন ছাত্রের মৃত্যু ঘটেছে পরোক্ষভাবে র‍্যাগের কারণে। যার কোনো বিচার হয়নি।

এই কদর্য র‍্যাগ নামের প্রথার নাকি শুরু হয়েছিল তারও চার-পাঁচ বছর আগে। ছাত্রদের কাছ থেকে পরিচয় গোপন রেখে কিছু অভিযোগ সংগ্রহ করা হয়েছিল। যার কিছু এখানে তুলে ধরছি।

একজন সিনিয়র শিক্ষকের জবানিতে একজন ছাত্র জানান, ‘এক রাতে আমি (অর্থাৎ, যিনি এই ঘটনা বলেছেন আমাদের) আমার একজন কলিগের কাছ থেকে একটা ফোন পাই। ফোনে জানতে পারি, এক ছাত্রকে (ঘটনাচক্রে আমি এই ছেলেটির অ্যাডভাইজার ছিলাম) র‌্যাগিংয়ের নামে অত্যাচার করে অচেতন অবস্থায় দোয়েল চত্বরে ফেলে রাখা হয়েছে। তাকে সেই রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। যেখানে সে তিন মাস ছিল। তার কিছুদিনের জন্য স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যায়। মধ্যে তিন বছর হয়ে গেছে। এখনো সে স্বাভাবিক ও সুস্থ হতে পারেনি। এই ঘটনার পরে সে আর কোনো ক্লাস করতে পারেনি বুয়েটে।’

অন্য আরেকজন ছাত্র জানিয়েছে, ‘ঘটনা বুধবার রাতের। ভাইয়েরা সবাইকে জামা খুলে মাথা নিচু অবস্থায় লাইন ধরে দাঁড় করালেন। প্রথম খানিকক্ষণ সালাম শেখানো চলল। প্রত্যেকে যতবার রুমে আসবে ততবার আলাদা করে সালাম। এরপর আসল ভদ্রতা শেখানো শুরু হলো। এক বন্ধু কবিতা লিখত। তাকে চটি কবিতা লিখতে পাঠাল। একজন ভালো ছবি আঁকে। তাকে বসাল মেয়েদের...এর ছবি আঁকতে।

‘আরেকজনকে উচ্চ স্বরে চটি পড়তে দিল। এক বন্ধুকে বোতল ধরিয়ে দিল...করে দেখা! কয়েকজনকে আলাদা করে নিয়ে হিজড়া সাজিয়ে ...দের মতো গায়ের বিভিন্ন অংশে হাত দিয়ে সিনিয়রদের...করার দায়িত্ব দিল। ভাইয়েরা satisfied হলে তবেই মুক্তি। একজন বন্ধু বেশ নরম স্বভাবের, কেঁদেই ফেলল শেষ পর্যন্ত। একজনকে বন্ধুদের মধ্য থেকে কাউকে বেছে নিতে বলল,...করে দেখাতে হবে আর কী! অতঃপর দুজনকেই কিছু গালি শিখিয়ে দিল, মজা পাচ্ছে সেটার expression দেওয়া লাগবে না? তা–ও ভালো, পাশের হলের মতো বালিশ নিয়ে...বা বন্ধুকে প্রভোস্ট হিসেবে...তে দেয়নি!’

বুয়েটের শিক্ষকদের সে সময় এসব জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

গত চার বছরে যতবারই শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের হাহাকার শুধুই বেড়েছে। অবস্থার অধঃপতন হয়েছে দ্রুত। শুধু মৌখিক অপমান নয়, প্রকাশ্যে শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার মতো স্পর্ধাও দেখিয়েছেন এসব ছাত্র। খুব সামান্য কারণে এসব ক্ষমতাশালী ছাত্র বা শিক্ষকদের রোষানলে পড়লে অতি নিরীহ শিক্ষকদের চাকরি, নিরাপত্তা সবকিছুই হুমকির সম্মুখীন। সম্প্রতি র‍্যাগের নামে বুয়েট ছাত্রের কানের পর্দা ফাটিয়ে ফেলা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, শুরুতেই ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করে সবাইকে দমিয়ে রাখা।

সম্প্রতি বুয়েটের হলে আবরারের নৃশংস খুনের পর কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা একটি সম্মিলিত ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যার গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ এখানে তুলে ধরছি। ছাত্র-শিক্ষকদের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বানান/ব্যাকরণ ঠিক করা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রেই ইংরেজি শব্দের মিশ্রণ অবিকৃত রাখা হয়েছে। শুধু কুরুচিপূর্ণ কিছু শব্দে...ব্যবহার করা হয়েছে।

‘যে বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্র তার মত প্রকাশের জন্য অন্য মতের ছাত্রদের অত্যাচারের সম্মুখীন হয়, নৃশংসভাবে খুন হয় আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই বিষয়ে অকর্মণ্য ভূমিকা পালন করে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করার সময় এখন নয়।

‘আবরার ফাহাদের এই খুনের বিষয়টি আসলে মনে হচ্ছে অবশ্যম্ভাবীই ছিল। কেন এই কথাটা বললাম? আমরা গত বেশ কয়েক বছরের ঘটনাপ্রবাহ যদি খেয়াল করি, তাহলে মনে হবে যে এত দেরি হলো কেন? এর মধ্যে অনেক ঘটনা আমরা জানতে পারছি, যা আমরা আগে জানতাম না অথবা জেনেও না জানার ভান করতাম। আমরা কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র ও শিক্ষক; তাই বিষয়গুলোকে একটি এলগরিদমের মতো করে সাজিয়ে লিখছি। ধরুন হলের কোনো একজন ছাত্রকে অপর কোনো এক কালপ্রিট ছাত্র কোনো কারণে পেটানোর ইচ্ছা পোষণ করল। তাহলে নিচের ধাপগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

‘ধাপ ১-ওই ছাত্রটিকে কোনো একদিন রাতে হলের একটি বিশেষ কক্ষে (টর্চার সেলে) ধরে নিয়ে আসতে হবে, যেখানে অত্যাচার করার সব সরঞ্জাম রয়েছে।

‘ধাপ ২-তারপর তাকে অত্যাচার করতে হবে।

‘ধাপ ৩-তবে, অত্যাচার করার সময় বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে ছাত্রটি মরে না যায়।

‘ধাপ ৪-অত্যাচার পর্ব শেষ হলে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে এবং অন্যান্য মাধ্যমে সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে যে ছেলেটি স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত/শিবিরের সঙ্গে জড়িত কিংবা সমর্থক ছিল। বুয়েটের অনেক ছাত্রকেই এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, তা এখন পরিষ্কার। এর আগেও বিভিন্নভাবে আমাদের কানে এসেছে যে হলের ছাত্ররা বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত হয়/হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলে, সাধারণ শিক্ষক/শিক্ষিকাদের কথা বলেন, কিংবা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কথাই বলেন, আমরা সকলেই “ম্যানেজ” হয়ে গেছি। ভেবেছি, এ আর এমনকি। আর আমাদের প্রশাসন এই বিষয়ে কোনো ভূমিকাই রাখেননি বলেই বোঝা যাচ্ছে; তারা গ্রহণ করেছে দেখেও না দেখার নীতি। দিনের পর দিন এই ধরনের অত্যাচার–অনাচার করে পার পেয়ে গিয়েছে বলেই সেই কালপ্রিট, ছাত্র নামের কলঙ্কগুলো আরও সাহস পেয়েছে।

‘বুয়েটের এই পচে যাওয়া অবস্থার জন্য আসলে আমরা ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক/শিক্ষিকা সকলেই দায়ী। আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি, যখন আমরা সবাই কমবেশি সুবিধাবাদী। এই পদধারী কালপ্রিট ছাত্ররা যখন বুয়েটের পরীক্ষা পেছানোর মতো অযৌক্তিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, তখন সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা সুবিধাবাদীদের ভূমিকায় অবস্থান নিয়ে তাদের অন্তত মৌন সমর্থন দিয়েছে। আর অন্যদিকে প্রশাসন তখন শক্তভাবে বিষয়গুলো মোকাবিলা না করে আরেক সুবিধাবাদীর অবস্থান নিয়েছে। আমরা সাধারণ শিক্ষক/শিক্ষিকারাও সুবিধাবাদী; আমরা প্রশাসনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কিছু করিনি।’

একটি সূত্রে জানা গেছে, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ওয়েবসাইটে ছাত্র নির্যাতনের কিছু ডকুমেন্ট ছিল। আবরার হত্যার পর বিশেষ কারও নির্দেশে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে সংগৃহীত কিছু অত্যাচারের নমুনা এখানে তুলে ধরছি।

‘পুরো সময় হল প্রভোস্ট তাঁর অফিসে বসা ছিলেন, যখন ওই ছেলেকে মারা হয়। নিচে অ্যাম্বুলেন্স রেডি ছিল, পুলিশের গাড়ি আগে থেকেই ছিল। সবাই জানে, একজনকে মারা হচ্ছে কেউ এগিয়ে আসেনি।’

‘বেয়াদব, তুই কীভাবে আমাদের মুখের ওপর এইভাবে না করতে পারিস। রুমে বড় ভাই ঢোকা সত্যেও তুই কীভাবে পড়তেছিস। তুই কীভাবে এই হলে থাকিস আমি দেখে নিব।’

‘এই পোলা তো আওয়ামী লীগের পোস্টে হাহা দেয়।’

‘যখনই আমার পায়ে মারেতেছিল, ব্যথাটা এতই বেশি ছিল যে নিজের কাছে মনে হচ্ছিল এই বুঝি আমি মারা যাচ্ছি। আমি ব্যথায় চিল্লাচ্ছিলাম। মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল।’

‘এগুলো আমারই ছবি, ছয় বছর আগের। আবরার মারা গেছে, আমি ওই দফায় বেঁচে ফিরেছি।’

‘আমাকে ধরা হয়েছিল চুল বড় বলে...স্টাম্প দিয়ে পিটানো, চড় মারা, লাথি মারাসহ বিভিন্নভাবে টানা ৫ ঘণ্টা নির্যাতন চলে। দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না, নিশ্বাস ছাড়তে কষ্ট হচ্ছিল।’

‘বুয়েটের হলগুলোতে মেস ম্যানেজাররা পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ডের জোরে দিনের পর দিন টাকা মেরে খাইসে। ওই টাকায় মদের পার্টি দিসে, বাইক কিনসে।’

‘আবরার ফাহাদের মতো সেখানেও ওই ছেলেটার ফেসবুক, মেসেঞ্জার চেক করা হয়। আর সেই সঙ্গে স্টাম্প, খাটের স্ট্যান্ড আর পা দিয়ে লাথি, ঘুষি থাপ্পড় মারা হয়। পরবর্তীতে জানা যায় ছেলেটার পায়ের হাড় ফ্র্যাকচার হয়েছে। দীর্ঘদিন তাকে ক্রাচ নিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।’

‘৮ মাস আগে ১৬ এর ভাইটি আমার হাত ভেঙে ফেলে।। কারণ-উনাকে দেখলে সালাম দিইনি নাকি কখন।...আমাদের বলা হয়েছিল সিঁড়ি থেকে পড়ে ভেঙে গেছিল বলতে।। জুনিয়র ছিলাম। ভয়ে বলিনি কাউকে। আর বললেও কিছু হইত না।’

‘HSC 16 ব্যাচের CSEর একটা ছেলেকে ফেসবুকের সূত্র ধরে সারা রাত পিটিয়েছিল, তার পিঠে কামড়ের দাগ ছিল।...নির্যাতিত ছেলেটি সেকেন্ড টাইম মেডিকেল অ্যাডমিশন টেস্ট দিয়ে বুয়েট ছেড়ে চলে যায়।’

‘আহসানউল্লাহ হলে একজনকে থাপ্পড় মেরে কানের পর্দা ফাটায় দেয়, সে আর কোনো দিন শুনতে পাবে না এক কানে।’

আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো, আবরারের মৃত্যুর পরও প্রভোস্ট এই খুনিদের সঙ্গে ঠান্ডা মাথায় আলাপ করেছেন। আবরারকে মারার সময়ও হলে ছিলেন। নির্যাতনে আবরার মারা যাওয়ান পর উপাচার্য অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে আসেননি। তার পদত্যাগ দাবি করা হলে তিনি নাকি বলেছেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি, তিনি কেন পদত্যাগ করবেন?

একজন উপাচার্যের দায়িত্ব কী? ছাত্রদের জানের নিরাপত্তা দেওয়া কি তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না? বছরের পর বছর এসব অন্যায় দেখেও পদের লোভে না দেখার ভান করে থাকা, কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া কি অন্যায় নয়? আজ ভাবতেও খুব কষ্ট লাগছে যে করিডরে হাঁটতে গিয়ে কত দিন সশ্রদ্ধ সালাম জানিয়েছি এসব ব্যক্তিকে। ধিক বুয়েট কর্তৃপক্ষ, ধিক নোংরা র‍্যাগিং, ধিক ছাত্ররাজনীতি, ধিক শিক্ষক রাজনীতি।