ভূমিপুত্র

অলংকরণ: সাব্যসাচী মিস্ত্রী
অলংকরণ: সাব্যসাচী মিস্ত্রী

মোষের পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াতে

দেখছিলাম আখ ও পাটখেতের
এক বাক্স রহস্য।

যে কিশোর লেদ মেশিন মুছত
তার মর্মমেঘ থেকে বৃষ্টি নয়
মাধ্বী ঝরে পড়ত।

এক জীবনে শরীর একমাত্রিকতায়
থেমে থাকে না,
প্রেমের বহু রৈখিকতায় নবীকরণ ঘটে
জঠরের অন্ধকার ভেদ করে
যেমন আলো আসে চোখ মেলতেই
আততায়ীর মতো আঘাত হানে।

জলে ধুয়ে যাওয়া আগুন তো আগুনই
সময়ের বিড়াল পার হয়—
শৈশব কৈশোর যুবা পড়ন্তবেলার
পথ ধরে।

জীবনের ঝাড়খন্ড সীমান্তের
কাছে যোগাযোগ
এই একটা শব্দেই হ্যাজাক জ্বেলে
সুখ-দুঃখের পিকনিকে মাতি,
সক্রেটিসের পৃথিবী জানতে হয়।

পাওয়া কিংবা না পাওয়ার মেলায়
হয়তো ডাকে না কেউ
জীবনের পথে পথে উত্তর খোঁজার চেষ্টা।

পার হয়ে আসা বিড়ালের
নখ আঁচড়ের সম্ভাবনা স্বতন্ত্র,
লেদ মেশিন মুছে এসে
আমার চোখে বাংলাদেশের
মানচিত্র আঁকে সেই যুবক।

আমি তার দিকে তাকিয়ে
নিঃস্বতার অভিব্যক্তি সুন্দরের
আর্তনাদ দেখি;
যন্ত্রের তর্জনী কেড়ে নিয়েছে
তার সহজ প্রকৃতির অধিকার
কে দেখাবে তাকে সরল ও
সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন...।


নাজমীন মর্তুজা: অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া।