চলতে চলতে একদিন

প্রথম আলোর ফাইল ছবি
প্রথম আলোর ফাইল ছবি

ঘটনার আট মাস পরে নির্ধারিত তারিখে মামলার শুনানির জন্য সকাল সকাল উপস্থিত হলাম আদালত প্রাঙ্গণে। আদালতের কার্যক্রম শুরুর খানিক আগেই পৌঁছালাম।

ডাক এল। আদালত কক্ষের আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আমি। পরম বিনয়ী আর অপরাধী ভঙ্গি। সেটাই স্বাভাবিক সেই মুহূর্তে। মামলার বিবরণী শুনে পুলিশকে গুটিকয়েক প্রশ্ন করলেন প্রভিন্সিয়াল আদালতের নারী বিচারক।

মামলার বাদী পুলিশ। তারা আমাকে কায়দামতো পেয়ে কঠিন ধারায় দু-দুটি মামলা ঠুকে দিয়েছে। আমার যা অপরাধ, তা একটিতেই মিটে যায়। সুতরাং বিচারক নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন, পুলিশ ধারাগুলো সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান রেখেই নালিশটা ঠুকেছে কি না।

পুলিশের জবাব শুনে বিচারক কিঞ্চিৎ ভ্রু কুঁচকে যখন বড় শাস্তির বিধানটি খারিজ করে দিলেন, তখন একটু স্বস্তি পেলাম। ভাবলাম, যাক বড় ধাক্কাটা তো গেল। সেই ধারায় জরিমানা ছিল ৬৯০ ডলার। তখনো ১১০ ডলারের শাস্তি বাকির খাতায়।

বিচারক এবার আমার দিকে তীক্ষ্ণ নজর হেনে বললেন, তুমি কি মনে করো তোমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য? তুমি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেছ?

আমি অতিশয় বিনয়ের সঙ্গে পরম শান্ত কণ্ঠে জবাব দিই। জি ধর্মাবতার, আমি অন্যায় করেছি।

বিচারক বললেন, তোমার ড্রাইভিং লাইসেন্সের পয়েন্ট কাটা যাবে আর জরিমানা দিতে হবে। এবার বলো জরিমানা কী উপায়ে শোধ করতে চাও?

আমি খানিকটা কাঁচুমাচু হয়ে বললাম, মাননীয়া, প্রথম অপরাধ বিবেচনায় জরিমানা কিছু মওকুফ...আর যদি পয়েন্ট না কেটে পারা যায়…সেই মতো ব্যবস্থা করার বিনীত আবেদন করছি।

তিনি অতিশয় দয়াবান। জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে ৮০ ডলার করে দিলেন। আমি দ্রুততার সঙ্গে আদালতের ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে জরিমানা পরিশোধ করে দিলাম।

বাড়ি ফিরতে ফিরতেই প্রতিজ্ঞা করলাম, এহেন অপরাধ আর নয়। আর এও ভাবলাম, কেন এসব দেশে মানুষ পুলিশকে এত ভয় পায়। গত সাত-আট মাস মনের ওপর দিয়ে যে ঝড় গেল আমার। জরিমানা তো জরিমানা! এ দেশের ড্রাইভিং লাইসেন্সের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ১৫। বারবার অপরাধের ফলে শাস্তির ধারা অনুযায়ী সেই পয়েন্ট কমে কমে ড্রাইভিং লাইসেন্স একসময় পুলিশের হাতে চলে যায়। তখন গাড়ি রাস্তায় নামানোই চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়।

এই ঝক্কি কেউ কি সহজে নিতে চায়? ৮০০ ডলার জরিমানা আর পয়েন্ট কাটার দুশ্চিন্তায় ঘুমই হারাম হয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া ঘরের ‘পুলিশ’ তো আছেনই! এই পুলিশ ছেড়ে দিলেও সেই পুলিশ ছাড়বেন না। তাঁর নলেজে গেলে এই জীবনের সব অর্জন জলে যাবে।

সকাল থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি আর কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে ছিল সেদিন। মেঘের ঘনঘটা আর বৃষ্টির ছটায় মনে হয়েছিল সারা দিনই ঝরবে। আমায় যেতে হবে অনেকটা পথ। তড়িঘড়ি করে মেয়েকে স্কুলের জন্য তৈরি করে দিয়ে নিজেও বের হলাম। পেট বলে কথা, এক দিন কামাই দিলে তো পাত্তি নেই!

সকাল আটটায় স্কুল শুরু। সাধারণত আটটার আগে ছাড়া, আটটা বেজে এক মিনিটও পার হয়নি কোনো দিন আমার নিয়মের ঘড়ির কাঁটায়। এটা আজীবনের অভ্যাস। বৃষ্টি মাথায় পথে অনাকাঙ্ক্ষিত দেরি হতে পারে ভেবে হাতে একটু সময় নিয়েই বের হয়েছিলাম। তবু তাড়া ছিল ভেতরে-ভেতরে।

বাসার সামনের ছোট লেন থেকে মেইন স্ট্রিটে উঠতে গেলে ডানে মোড় নিতে হয়। রেড সিগন্যালে সাধারণত বাঁ দিকে ভালোভাবে দেখে নিয়েই সবাই ডান দিকে মোড় নেয়। সেটা বিধিসম্মত। আমিও রেড সিগন্যালে বাঁয়ে দেখে নিয়েই ডানে মোড় নিয়েছিলাম। একটু শার্প টার্ন হয়েছিল যদিও। সেটা অতটা দোষেরও নয় কিছু; যদি না আমার পেছনের গাড়িটা ‘মামার’ গাড়ি না হতো।

বাঁয়ে দেখার সময়ে গাড়ির রং, লোগো—কিছুই পরিষ্কার দেখিনি বৃষ্টির অত্যাচারে। ডান দিকের দ্বিতীয় লেনেই সরাসরি গাড়ি নিয়েছিলাম, যাতে পরবর্তী সিগন্যালে বাঁয়ে মোড় ঘুরতে পারি সহজেই। আমার এই সহজ কাজ অতিশয় কঠিন করে দিতে মামার গাড়ি আমার পেছনে এসেই হাজির হবে যথাসময়ে, এ কথা কে জানত তখন।

ট্রাফিক আইনে এই ডানে মোড় নেওয়ায় ক্ষেত্রে সরাসরি দ্বিতীয়-তৃতীয় লেনে নেওয়ার নিয়ম নেই সত্যি, তেমনি এই কাজ সচরাচর সবাই করে থাকেন, যাঁদের দেখেই আমি উদ্বুদ্ধ হয়েছি—এটিও নির্জলা সত্য।

গাড়ি ঢুকিয়েছি মাত্র, অমনি বিকট শব্দে সাইরেন বেজে উঠল। প্রথমটায় একটু চমকালাম। ভাবলাম, কাকে ধরল? আমি না তো? কী একটু ভেবে গাড়ির স্পিড না কমিয়েই চালিয়ে যাচ্ছি। মামা যথারীতি ধাওয়া করেই যাচ্ছেন। একবার গাড়ি চিনতে ভুল করেছি। এবার সাইরেনের সিগন্যাল বুঝতে, আজ আমার কপালে ধরা আছে ষোলো আনাই সে বোঝা যাচ্ছে বেশ।

যখন টের পেলাম তিনি আমাকেই ধাওয়া করছেন, ততক্ষণে আমি মাঝরাস্তায়। তো ভাবলাম একটি প্লাজায় পার্কিং খুঁজে তারপর দাঁড়াই। সেইমতো গাড়ি আরও একটু চালিয়ে নিয়ে একটি পার্কিং লটে গিয়ে দাঁড়ালাম।

গাড়ি পার্ক করে দরজা খুলে বের হওয়া মাত্রই দেখি পুলিশ কর্তাও বেরিয়ে এলেন তাঁর গাড়ি থেকে। বললেন, ‘আর ইউ ড্রাংক? তোমায় গাড়ি থামাতে বললাম, না থেমে গাড়ি চালাচ্ছিলে কেন? পুলিশের হাত থেকে পালাতে পারতে তুমি?’

আমি তো ভয়ে কাঠ, কী জবাব দেব ভেবে পাচ্ছি না। হার্টের বিট ১০ গুণ গতিতে হাইস্পিডে বিচরণ করছে। ইনিয়ে-বিনিয়ে বললাম, আমি বুঝতে পারিনি তুমি আমাকে থামাতে বলেছ। যখন বুঝেছি, তখন মাঝরাস্তায় না থামিয়ে এই পার্কিং লটে এসেছি।

এবারে পুলিশ কর্তা আরেকটু ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, কত দিন গাড়ি চালাও? তোমার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে? বের করো গাড়ির কাগজপত্র। এবার তোমার ডকুমেন্টেশন হবে।

ভয়ে ভয়ে সব কাগজপত্র দিয়ে গাড়িতে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। প্রায় ১৫ মিনিট পরে তিনি এসে আমাকে দুটি রসিদ ধরিয়ে দিয়ে বললেন, প্রভিন্সিয়াল কোর্টে গিয়ে এগুলো জমা দিয়ে কোর্টের ডেট নিয়ে এসো।

উল্লেখ্য, পুলিশ গাড়ি থামাতে বললে সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ি থামাতে হবে। সে মাঝরাস্তায় হোক আর খানাখন্দই হোক। সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হলে আইনত পুলিশ জরিমানা করতে পারে। আমি রীতিমতো পুলিশের নির্দেশ অমান্য করেছি। সেই রাগে পুলিশ আমার যত না ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অপরাধ, তার থেকে বেশি শাস্তির ধারা খুঁজে বের করতেই পারে। এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।

বস্তুত, ওই পুলিশ কর্তা করেছিলেনও তা–ই। পুলিশ কর্তা ভয়ানক রেগে গেলেও এই দেশের সংস্কৃতি ও নিয়ম অনুযায়ী আমাকে দুই-চার ঘা লাগাতে পারেন না কিংবা উচ্চ স্বরেও গালাগাল দিতে পারেন না। শুধু শক্ত-কঠিন মুখ করে আমাকে প্রয়োজনীয় প্রশ্নগুলো করলেন।

এই জীবনে খুব বেশি নিয়ম ভাঙার রেকর্ড নেই আমার। তবে যখনই নিয়ম ভেঙেছি, তখনই পিষ্ট হয়েছি নিয়মের জাঁতাকলে। শাস্তি পেয়ে, আইনের দণ্ড ভোগ করেই শিক্ষা হয়েছে। সে কারণে বড় ধরনের অপরাধী হয়ে উঠতে পারিনি।

সেদিনও আগের অভিজ্ঞতার ব্যত্যয় ঘটল না। দিন শেষে পুলিশের কৃত মামলার রসিদ নিয়ে ছুটলাম আদালতে কেসটি নথিভুক্ত করাতে। কেস নথিভুক্ত করাতেও আবেদন ফরম পূরণ করতে হয়। সেখানে আমার উকিল লাগবে কি না, এ–জাতীয় তথ্য দিতে হয়। আমার ফর্মালিটিজ শেষ হলে তারা জানাল, আমরা শুনানির দিন উল্লেখ করে আপনাকে মেইল পাঠাব। তা প্রায় মাস চারেক তো লাগবেই মেইল পেতে।

মেইলের অপেক্ষায় থেকে থেকে আমার আর দিন-মাস ফুরোয় না। নিজেকে অপরাধী অপরাধী লাগে। প্রায়ই দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যায়। আমার আতঙ্ক বাড়ে। খুব অবাক হয়ে দেখলাম, মনে যতবারই ভয়-আতঙ্ক এসেছে, একবারও পুলিশের প্রতি ক্ষোভ আসেনি কিংবা প্রচলিত আইনের প্রতিও অশ্রদ্ধা জাগেনি; বরং নিজেই নিজেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি আর এমন ভুল করব না। নিজের জন্যই নিজের মায়া হয়েছে, লজ্জা পেয়েছি।

একই সঙ্গে এটাও ভেবেছি, এই সিস্টেম, এই সমাজ বলেই না আমার অনুভব এমন। কারণ, আমি এই সমাজের অংশ, এই সমাজের নিয়মকানুনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। এই সিস্টেমের ধারাবাহিকতার অংশ আমি। আর এটি তারা প্রতিষ্ঠিত করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ দেশের পুলিশ ঘুষ খায় না। তবে সরকার তাদের বৈধ ঘুষ খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। অবৈধ পার্কিং, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ, অবৈধ ট্রেসপাসিং—এসব অপরাধের দায়ে সব মামলাতেই পুলিশ বাদী হয়। অর্থাৎ, পুলিশের দায়িত্ব হলো এসব কাজের তদারকি করা, আর যেখানে যেটাই অঘটন ঘটে, পুলিশ ধারা অনুযায়ী মামলা দিয়ে দেবে।

জরিমানার আদায়কৃত সব অর্থের ১০ শতাংশ পুলিশের বেতনের সঙ্গে যোগ হবে। আর যে পুলিশ এসব অন্যায় প্রতিরোধে যত বেশি মামলা করবে, তার বেতনের উপরে বাড়তি রোজগার আনুপাতিক হারেই যোগ হতে থাকবে। এতে করে মোটাদাগে চারটে লাভ হচ্ছে। সরকারের রাজস্ব মোটাতাজা হচ্ছে। পুলিশ বেতন নিয়েও সন্তুষ্ট থাকছে। অপরাধের মাত্রাও কমছে এবং সর্বোপরি জনসাধারণের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হচ্ছে।

শুধু এক বেআইনি লেন পরিবর্তন করার অপরাধে আমাকে জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল মোট ৮০০ কানাডীয় ডলা,। যা বাংলাদেশি টাকায় ন্যূনতম ৪৮ হাজার টাকার চেয়ে বেশি ছাড়া কম নয় (ডলারের দাম ওঠানামার ওপর নির্ভর করে)।

আমাদের দেশের ট্রাফিক আইনে অবৈধ পার্কিংয়েও জরিমানার নিয়ম আছে বৈকি। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে মামলা ও জরিমানা তেমন করা হয় না। এ কারণে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে টাকাও জমা হয় খুব কম। আর আমাদের দেশে লেন পরিবর্তন তেমন কোনো অপরাধই নয়। শুনেছি লেন পরিবর্তনের জরিমানা মাত্র ২০০ টাকা। জরিমানা যখন মাত্র ২০০ টাকা, তখন এটি অতি সামান্য-তুচ্ছ অপরাধ বৈ তো নয়।

আদতে অপরাধের মাত্রার ওপরই জরিমানা নির্ধারিত হওয়া উচিত। এটি যেমন সত্য, তেমনি অপরাধের মাত্রা কমিয়ে আনার জন্যই যদি জরিমানা নির্ধারিত হয়ে থাকে, তবে সেই জরিমানার অঙ্কও নির্ধারিত হওয়া উচিত দেশের প্রচলিত মুদ্রার মূল্যমান, মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা, রোজগারের প্রাচুর্য, অপরাধপ্রবণতা ও অপরাধ সংঘটনের প্রচলিত সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে।

আমাদের দেশের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা অতি উচ্চপর্যায়ের, তা যাত্রী কিংবা চালক উভয়ের ক্ষেত্রেই সমভাবে প্রযোজ্য। অবৈধ পার্কিং আমাদের দেশে বড় সমস্যা। বছর দুই আগে রাস্তায় পার্ক করা নিয়ে পুলিশ ও গাড়ির মালিকের যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছিল, তার সুখ্যাতি দেশব্যাপী ছড়িয়ে আছে। বেশির ভাগ শপিং মল, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের নিজস্ব কোনো পার্কিং না থাকায় আমাদের রাস্তাই ভরসা—এ কথাও সত্য। একইভাবে এই ট্রাফিক আইন না মানার কারণে অনেক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ পথচারী, শিশু, নারীসহ বৃদ্ধ মানুষ। অথচ এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের ঔদাসীন্য যে উচ্চমার্গীয়, সে কথা বলাই বাহুল্য!

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, প্রতিমুহূর্তেই উপলব্ধি করছি ডিজিটাল বাংলাদেশের নানা আঙ্গিকেই উন্নতির বিষয়গুলো। একটি রাষ্ট্র রাতারাতি কোনো বিষয় যেমন উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারে না, তেমনি রাষ্ট্রকাঠামোয় দায়িত্বরত সব প্রতিষ্ঠানেরও ভূমিকা রয়েছে তাদের দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করার। এই ট্রাফিক আইন মান্য করা ও সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে পুলিশ বিভাগ জড়িত।

আমাদের দেশের পুলিশের ওপর জনগণের আস্থা নেই নানা কারণে। পুলিশেরও বেতনসহ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে লম্বা অনুযোগ রয়েছে। সরকার চাইলে আমার এই অতি তুচ্ছ ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে বৈধভাবে তাদের বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দিতে পারে। বৈধ উপায়ে পুলিশ ঘুষ খেলে আখেরে লাভের বলটি সরকারের কোর্টেই যায়। ট্রাফিক আইন ভঙ্গের, অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র হর্ন বাজানোর ক্ষেত্রে কেসের জন্য পুলিশের মাসিক বেতনের সঙ্গে জরিমানার একটা অংশ যোগ হবে। সে ক্ষেত্রে অতি অবশ্যই জরিমানার অঙ্ক বাড়াতে হবে। লাইসেন্স সিজ করার আইন সংযোজন করতে হবে। তারপর দেখা যেতে পারে পুলিশ কতটা কর্মতৎপর হয়ে ওঠে এই একটি ব্যাপারে।

পরিশেষে বলি, আসুন রাস্তায় চলার সময়ে আইন মেনে চলি। বিপথে চলতে চলতে একদিন জীবনের রাস্তাটাই হারিয়ে ফেলব। থেমে যাবে সব কোলাহল। তার আগপর্যন্ত ভালো থাকি সবাই মিলে, ভালো রাখি আমাদের চারপাশকে। দেশটা আমাদের মা। ভালোবাসি দেশটাকে, ভালো রাখি আমাদের মাকে।

ধারাবাহিক এ রচনার আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন: