কানাডায় কোয়ালিশন সরকার গঠনের পথে লিবারেল

জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: রয়টার্স
জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: রয়টার্স

কানাডার ৪৩তম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত সোমবার (২১ অক্টোবর)। এর আগে টানা ৪০ দিন নির্বাচনী প্রচারণা, বিভিন্ন দলপ্রধান ও প্রার্থীদের নানা চুলচেরা বিশ্লেষণে সরব ছিল দেশটির সংবাদমাধ্যম। সাধারণ নির্বাচনে ৩৩৮ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনকেন্দ্রিক সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো। ২০১৫ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে সরকার গঠন করলেও এবার সেটি হয়নি। কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে হচ্ছে জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টিকে।

পার্লামেন্টের ৩৩৮ আসনের মধ্যে লিবারেল ১৫৮টি আসনে জয়লাভ করে। কনজারভেটিভ পার্টি ১২০টি, ব্লক কুইবেক ৩২টি, এনপিপি ২৪টি, গ্রিন পার্টি ৩টি আসন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির সাবেক আইন ও বিচারবিষয়ক মন্ত্রী জোডি উইলসন।

এদিকে দেশটিতে বসবাসরত তিন বাংলাদেশি-কানাডীয় এবার ফেডারেল নির্বাচনে দুটি বড় দলের প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে তাঁদের কেউই বিজয়ী হতে পারেননি।

অ্যালবার্টা ক্যালগেরি সিগন্যাল হিল আসন থেকে এনডিপি দলের প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন খালিশ আহমেদ। একই দলের হয়ে ওন্টারিও স্কারবোরো সেন্টার আসনে লড়েছেন ফাইজ কামাল। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়ে টরন্টোর নিকটবর্তী অশোয়া আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভবিষ্যতে শক্ত লড়াইয়ের আভাস দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আফরোজা হোসেন।

তবে কানাডার মূলধারার রাজনীতিতে তিন বাংলাদেশি–কানাডীয় প্রার্থীর মনোনয়ন প্রাপ্তিকেই বড় করে দেখছেন দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। দেশটিতে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশিরা এই তিন প্রার্থীকে প্রেরণা হিসেবে নেবে। আগ্রহী হবে মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয় হতে।