মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের নিয়ে গানের প্রতিযোগিতা

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরেন জাফর ফিরোজ। ছবি: কায়সার হামিদ
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরেন জাফর ফিরোজ। ছবি: কায়সার হামিদ

‘প্রবাসী গাও জীবনের গান’ স্লোগানে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে শুরু হচ্ছে গানের প্রতিযোগিতা ‘এমএম লাইভ সিঙ্গারস অব লাইফ-২০২০’। মালয়েশিয়াপ্রবাসী ছাড়াও এই প্রতিযোগিতায় সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

গত রোববার (২০ অক্টোবর) কুয়ালালামপুরের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরেন এমএম লাইভের কো-ফাউন্ডার ও নির্বাহী জাফর ফিরোজ। আরও উপস্থিত ছিলেন অফিসার অ্যাডমিন ক্রিতানা।

জাফর ফিরোজ বলেন, ‘আমাদের এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য শুধু প্রতিভার সন্ধান নয়। লক্ষ্য হচ্ছে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মালয় ও বাঙালি সংস্কৃতির মাঝে একটি ভালোবাসার বন্ধন তৈরি করা। সেই সঙ্গে বাঙালি সুরকে বিশ্বের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।’

গ্র্যান্ড ফিনালেতে মালয়েশিয়ান শিল্পীদের সঙ্গে কয়েকটি দেশের শিল্পীরাও বাংলা গান পরিবেশন করবেন বলে আয়োজকেরা আশা করেন।

প্রতিযোগিতার অনলাইন অডিশন রাউন্ড চলছে। অংশ নেওয়ার জন্য প্রতিযোগীদের MM LIVE অ্যাপসে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করতে হবে। অ্যাপসে অডিশন নামে একটি অপশন দেওয়া আছে।

প্রতিযোগীরা মোবাইল ফোনে গানের ভিডিও ধারণ করে একটি গান অ্যাপসে আপলোড করবেন। অনলাইনে গানের ভিডিও জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩১ অক্টোবর।

প্রতিযোগিতার প্রচারপত্র
প্রতিযোগিতার প্রচারপত্র

এখান থেকে ১০০ জনকে বাছাই করে দর্শকদের ভোটের জন্য একই অ্যাপসে সবার জন্য ভিডিওটি উন্মুক্ত করা হবে। দর্শকদের ভোট ও বিচারকমণ্ডলীর রায়ে সেখান থেকে ৫০ জনকে স্টুডিও রাউন্ডের জন্য বাছাই করা হবে। এখানেও দর্শকদের ভোট ও বিচারকদের ভোটে সেরা ২০ জনকে বাছাই করা হবে।

সেমিফাইনালে সেরা ২০ জন থেকে ১০ জনকে বাছাই করে ফাইনাল রাউন্ডের জন্য মনোনীত করা হবে। সেরা ১০ জন নিয়ে হবে গ্রুমিং রাউন্ড। গ্রুমিং রাউন্ড শেষে সেরা ১০ জন গাইবেন ফাইনাল রাউন্ডে। দর্শকেরা ফাইনাল রাউন্ডসহ সব রাউন্ড অ্যাপসে দেখতে পারবেন।

প্রতিযোগী ও অনলাইন দর্শকদের জন্য রয়েছে ২০ হাজার রিঙ্গিত সমমানের পুরস্কার।

মূল পর্বে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী মো. খুরশীদ আলম, একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, সংগীত পরিচালক মইনুল ইসলাম খান, সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা ও সংগীত পরিচালক সজীব দাস।

বিচারকদের রায় ও দর্শকদের অনলাইন ভোটে নির্বাচন করা হবে সেরা তিনজনকে। সেরা তিনজনকে নিয়ে মৌলিক মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করা হবে।

এই প্রতিযোগিতার বিশেষ একটি দিক হচ্ছে দর্শকদের জন্য পুরস্কার। অনলাইন ভোটে অংশগ্রহণকারী দর্শকদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে তিনজনকে ১০ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি প্রায় ২ লাখ টাকা) সমমানের আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া হবে। মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে দর্শকেরা এই ভোটে অংশ নিতে পারবেন।