সিউলে দীপাবলি উদ্যাপন

সিউলে দীপাবলি উদ্‌যাপন। ছবি: লেখিকা
সিউলে দীপাবলি উদ্‌যাপন। ছবি: লেখিকা

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে প্রথমবারের মতো খিয়ংহি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্‌যাপিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আলোর উৎসব নামে খ্যাত দীপাবলি। স্থানীয় পূজা পরিষদের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা এবং সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী, অধ্যাপক, ইপিএস কর্মী ও ব্যবসায়ীরা সপরিবারে এই পূজায় অংশগ্রহণ করেন।

পূজায় পৌরোহিত্য করেন শিশির চক্রবর্তী। পূজামণ্ডপ সজ্জায় সহযোগিতা করেন নয়ন দে, মৃদুল সোম, জুয়েল কুমার সাহা ও অভিজিৎ সরকার।

সিউলে দীপাবলি উদ্‌যাপন। ছবি: লেখিকা
সিউলে দীপাবলি উদ্‌যাপন। ছবি: লেখিকা

পূজারি ও সমবেত ভক্তরা অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তিকে আহ্বান জানিয়ে অঞ্জলি দেন ও প্রদীপ প্রজ্বালন করেন। অঞ্জলি প্রদান শেষে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দত্ত ও সহসভাপতি ড. দেবাশীষ হালদার।

পরিষদের সভাপতি ড. হাসি রানী বাড়ৈ সিউলে সর্বজনীন মন্দির স্থাপনের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে পরবর্তী পূজা উদ্‌যাপনের ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানে ভক্তিমূলক গান ও শ্যামাসংগীত পরিবেশন করেন বিলাস বিষু ও রতন কুমার সরকার। ঢাক ও তবলায় সহযোগিতা করেন অনুপ সরকার।

সবশেষে ঢাকের তালে তালে সবাই মিলে নৃত্যের মধ্য দিয়ে পূজার সমাপ্তি ঘটে।

সিউলে দীপাবলি উদ্‌যাপন। ছবি: লেখিকা
সিউলে দীপাবলি উদ্‌যাপন। ছবি: লেখিকা

এরপর সবার মাঝে ফলফলাদি, জিলাপি, পায়েস ও খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ করা হয়। প্রসাদ তৈরি ও পরিবেশনে সহায়তা করেন পঙ্কজ দত্ত, বিষ্ণু কুমার, তারাপদ শর্মা, পি কে রায়, কাজল কর্মকার, পুষ্পক কুমার ধর, সুমন সাহা, সঞ্জিত কুমার ও লোকনাথ চন্দ্র বর্মণ। এ ছাড়া খিয়ংহি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন।

এমন উৎসবমুখর পরিবেশ প্রবাসী যান্ত্রিক জীবনে এনে দেয় স্বস্তি ও প্রশান্তি, যা তাঁদের নতুন কর্মোদ্যমের শক্তি জোগায়।

আঁখি বিশ্বাস: কোরিয়ান ভাষা শিক্ষার্থী, সিউল গ্লোবাল সেন্টার, দক্ষিণ কোরিয়া।