মিশিগান মাতিয়ে গেলেন কণ্ঠশিল্পী নোবেল

সংগীত পরিবেশন করছেন নোবেল
সংগীত পরিবেশন করছেন নোবেল

মিশিগান অঙ্গরাজ্যের হ্যামট্রাম্যাক শহরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে গেলেন কলকাতার জি বাংলার ‘সারেগামাপা’র জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বাংলাদেশি মাঈনুল আহসান নোবেল। অনুষ্ঠানে দর্শক–শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তাঁর গান শোনেন।

গত রোববার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হ্যামট্রাম্যাক শহরের গেট অব কলম্বাস হলে বৈশাখী উৎসব ইনকের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

এ অনুষ্ঠান নিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে যে আশা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল, তার পুরোটাই পূরণ করে দিয়েছেন নোবেল। তাঁর গান শুরুর অনেক আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় যায় হল। নোবেল মঞ্চে ওঠার আগে স্থানীয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।

মঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা হাতে এক তরুণী
মঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা হাতে এক তরুণী

গান শোনার জন্য গানপিপাসু বাঙালিরা ডেট্রয়েট, ওয়ারেন, স্টার্লিং হাইটস, ট্রয়, ব্লুমফিল্ড হিলস ও মেডিসন হাইটসসহ বিভিন্ন শহর থেকে এসে হ্যামট্রাম্যাক শহরের গেট অব কলম্বাস হলে সমবেত হন।

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ডা. দেবাশীষ মৃধা ও তাঁর সহধর্মিণী চিনু মৃধা।

নোবেলের প্রতিটি গানের শেষেই দর্শকদের করতালিতে হলঘর হয়ে ওঠে সরগরম। নোবেলের সঙ্গে কয়েকটি গানে অংশগ্রহণ করেন আরেক জনপ্রিয় শিল্পী জুবায়ের টিপু। তাঁদের দ্বৈত গানে দর্শকেরা আবেগে আপ্লুত হন। নোবেল পরপর বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান গেয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা
অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা

প্রিয় শিল্পীকে কাছে পেয়ে অনেকেই ছবি তুলে নিজেকে একই ফ্রেমে বাঁধতে চান। নোবেল কাউকে ‘না’ করেননি।

অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন সেলিম আহমদ, সাকের উদ্দীন, মো. জাহেদ মাহমুদ, আজিজ সুমন, শাহিদুর রহমান চৌধুরী, রাসেল মোহাম্মদ, মৃদুল কান্তি সরকার, শেখ বদরুদ্দোজা ও সৈয়দ সালেক আহমদ।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, ভবিষ্যতেও তাঁরা এ ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়মিত আয়োজন করবেন।