ফ্রান্সের মৈত্রী বৌদ্ধবিহারে কঠিন চীবর দান

ফ্রান্সের মৈত্রী বৌদ্ধবিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: অনুপম বড়ুয়া
ফ্রান্সের মৈত্রী বৌদ্ধবিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: অনুপম বড়ুয়া

ফ্রান্সের মৈত্রী বৌদ্ধবিহারের উদ্যোগে উদ্‌যাপিত হয়েছে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান। গতকাল রোববার (৩ নভেম্বর) দেশটির রাজধানী প্যারিসের অদূরে গুসানভিলের নিজস্ব বিহারে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান উৎসব সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে পঞ্চশীল গ্রহণ, বুদ্ধপূজা, অষ্ট উপকরণ, সংঘদান, কল্পতরু দান ও কঠিন চীবর দান করা হয়।

ধর্মসভায় সভাপতিত্ব করেন ভদন্ত বিমলতিষ্য মহাথের। প্রধান অতিথি ছিলেন মিয়ানমার বিহারের অধ্যক্ষ উ কুমারা থের। সঞ্চালনা করেন লন্ডনপ্রবাসী ড. নাগসেন থের।

অন্যান্যের মধ্যে মৈত্রী বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত অনোমদর্শী থের, বুদ্ধগয়া প্রজ্ঞা বিহারের পরিচালক কল্যাণ রত্ন ভিক্ষু, ইউরোপিয়ান বাংলা বুড্ডিস্ট সেন্টারের অধ্যক্ষ চন্দ্রজ্যোতি থেরসহ শ্রীলঙ্কা ও কম্বোডিয়ার বৌদ্ধভিক্ষুরা উপস্থিত ছিলেন।

ফ্রান্সের মৈত্রী বৌদ্ধবিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে উপস্থিতি। ছবি: অনুপম বড়ুয়া
ফ্রান্সের মৈত্রী বৌদ্ধবিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে উপস্থিতি। ছবি: অনুপম বড়ুয়া

দেশনায় বক্তারা বলেন, বৌদ্ধধর্ম জ্ঞানের ধর্ম। এই ধর্মকে জানতে, বুঝতে ও প্রতিপালন করতে হলে জ্ঞানের প্রয়োজন। পৃথিবীতে মানবজাতি দুঃখের দাস। দুঃখকে জয় করতে হলে মানুষের তিনটি জিনিস—লোভ, দ্বেষ ও মোহকে ত্যাগ করতে হবে। এই তিনটি জিনিসের কারণে মানুষ হিংসা-বিদ্বেষ ও জঘন্য কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। লোভ, দ্বেষ ও মোহকে পরিত্যাগ করতে পারলে তখনই জাগতিক সুখ ও নির্বাণ লাভ সম্ভব।

ফ্রান্সের মৈত্রী বৌদ্ধবিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে উপস্থিতি। ছবি: অনুপম বড়ুয়া
ফ্রান্সের মৈত্রী বৌদ্ধবিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে উপস্থিতি। ছবি: অনুপম বড়ুয়া

বক্তারা আরও বলেন, ‘ফ্রান্সের আলো-বাতাসে বেড়ে ওঠা শিশুদের যদি সঠিকভাবে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলা না হয়, তা হলে আমরা জাতি হিসেবে পিছিয়ে পড়ব।’