সে

ফিরে এসেছে সে
যখন ভুলে গেছি কোন গান কোন সুরে গেয়েছিল!

এখানে আর ঠাঁই নেই—
স্পষ্ট উচ্চারণে বলেছি;
সকলই বিস্মৃতি এখন
গুছিয়ে রাখা ঘরদোর-আলনা-পরিধান।

তার এখন অন্য রকম দাবি—
ভেবে যাই পরাবিদ্যা, জড়বাদী হে বস্তু-পৃথিবী
কুকুরছানাটি ধরে উল্টো পথে হাঁটলাম যেদিন,
রেখে যাওয়া সংসারে শুধুই বিস্ফোরণ।
তখন রাত দেখলেই কাঁপতাম,
ঝড়ের আঁধার-মেঘ দেখলে হু-হু করে ভয়!
বাতাস ভরা পলিথিনের ব্যাগ,
কাপড় শুকোবার দড়িটা
ফাঁস মনে হতো—
দেয়ালের ভেতর থেকে জেগে উঠত চিন্তালতা।
ক্লান্তির ঘুমগুলো গাঢ় হয়নি এত দিনেও!
নুনজলে ফুটে ফুটে চোখ দুটো ভাতের মতো ঢ্যাপঢ্যাপে।

আচ্ছা তবে বলো, অতিরিক্ত সুখী কে রইল?
কী-বা দিয়ে গেছ সে বেলা? কোন পরম্পরা?
আজ কোন বার, কোন বেলা, কোন সাল, বাংলা, ইংরেজি না হিজরি?
ক্ষতবহ ভিখিরির প্রশ্ন ছিল প্রতিটি দিনের কাছে।
জীবনের কিছু সাল-তারিখ
অশুভ ইচ্ছেরা শাসন করে গেছে একদিন—এ পাথরের সংসারে।
তোমাকে ভুলে গেলে কার ক্ষতি?
জীবনের নতুন বিহগ-পথ খুলে গেছে সেই কবে—
মৃত্যুর পর সেই পথ ধরে উড়ে যেতে বিঘ্ন কোথায় আর!
শুয়ে শুয়ে কাটিয়েছি বহুমূল্যবান দিন...শুধুই শুয়ে শুয়ে,
তথাগত লায়েক হয়ে ওঠার চেষ্টায়...
যদি লায়েক হয়ে উঠি—কবে হব গীতময়
এক লোকায়ত আকুল পাথারের গান...
---
নাজমীন মর্তুজা: অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া।