সিডনিতে ব্যবসায়ীদের দেওয়া হলো পুরস্কার

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মঞ্চে অতিথিদের সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের একাংশ। ছবি: কাউসার খান
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মঞ্চে অতিথিদের সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের একাংশ। ছবি: কাউসার খান

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হয়ে গেল দেশটির বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় আয়োজন এবিবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডসের (২০১৯) অনুষ্ঠান। গতকাল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সিডনির প্রাণকেন্দ্র রকসের শাংগ্রিলা হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে আয়োজন করা হয় জমকালো এ অনুষ্ঠান।

এবার ছিল এই পুরস্কারের তৃতীয় আয়োজন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ব্যবসার ১৩টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়। এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (এবিবিসি)।

এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানস্থল পরিণত হয়েছিল দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও তাঁদের সঙ্গে সম্পৃক্তদের মিলনমেলায়।

অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদানের ফাঁকে আকর্ষণীয় সরোদবাদন ও গান পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের ব্যবসা তথ্যভিত্তিক বিজনেস জার্নালের প্রথম সংখ্যা উন্মোচন করেন উপস্থিত অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, অস্ট্রেলিয়া সরকারের অভিবাসনমন্ত্রী ডেভিড কোলম্যান, মেডেল অব দ্য অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া সম্মানে ভূষিত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী কামরুল চৌধুরী ও অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ তরুণ ধনী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডেপুটি সফটওয়্যারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক আহমেদসহ অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ তরুণ ধনী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আশিক আহমেদ। ছবি: কাউসার খান
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ তরুণ ধনী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আশিক আহমেদ। ছবি: কাউসার খান

এবিবিসির সভাপতি আসিফ কাউনাইনের সঙ্গে মূল অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন দেশটির স্কাই নিউজের সাবেক সংবাদ উপস্থাপক জন ম্যাঙ্গোস। শুধু নিবন্ধিত অতিথিদের জন্য এ অনুষ্ঠানটিতে ব্যবস্থা ছিল বিশেষ নৈশভোজেরও।

পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নির্বাচনে জুরি প্যানেলে ছিলেন দেশটির আন্তর্জাতিক জুরি কমিশনের সভাপতি জন ডাউড, দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান, ম্যারোনিট কেয়ারের নির্বাহী সভাপতি অ্যান্তনি খৌরি ও ম্যাকোওরি ল স্কুলের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।

এবিবিসির সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুল হক সরকার বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তরোত্তর ব্যবসা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে আরও ভালো হবে।’

অন্যদিকে সিডনিতে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্মেলন একই দিন শেষ হয় স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটায়। বাংলাদেশ হাইকমিশন ও অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের যৌথ আয়োজনে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় সিডনির হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে।

সম্মেলনে বস্ত্রশিল্প, কৃষিপণ্য, হিমায়িত খাদ্য, চামড়াশিল্প, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজ শিল্প, ওষুধ খাতে বৃহত্তর সম্ভাবনা, বাংলাদেশে বিনিয়োগ, শিক্ষা ও দক্ষতা প্রসার, বাণিজ্য এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ভাগে আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় বৃহত্তর ব্যবসা গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্কের সম্ভাবনা ও বাধাগুলো চিহ্নিত করা হয়।

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: কাউসার খান
অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: কাউসার খান

এ সম্মেলন উপলক্ষেই বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ অনেক ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা সিডনিতে আসেন।

এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে নিউ সাউথ ওয়েলস বিজনেস চেম্বার, বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।