লন্ডনে বাংলাদেশ বইমেলায় বঙ্গবন্ধু কর্নার

বাংলাদেশ বইমেলায় বঙ্গবন্ধু কর্নার। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশ বইমেলায় বঙ্গবন্ধু কর্নার। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, যুক্তরাজ্য

লন্ডনে বাংলাদেশ বইমেলায় প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু কর্নার। উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই বইমেলার প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু কর্নার।

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোস্টার ও ব্যানারে সাজানো এই স্টলে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং শেখ হাসিনা রচিত ১৪টি বই মেলায় আসা অতিথি ও দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অতিথি ও দর্শকেরা বইগুলো গভীর আগ্রহ নিয়ে দেখেন ও কেনার জন্য সংশ্লিষ্ট বুকস্টলে খোঁজখবর নেন।

দুই দিনব্যাপী (১৬ ও ১৭ নভেম্বর) এই বইমেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিনে আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু কর্নার পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে যুক্তরাজ্যের সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী নবম বাংলাদেশ বইমেলায় যোগ করেছিল ভিন্ন মাত্রা। ওই মেলায় বঙ্গবন্ধুর নিজের এবং তাঁর জীবন ও কর্মের ওপর লেখা বিভিন্ন বই ছাড়াও শেখ হাসিনার লেখা ১৪টি বই প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছিল। এসব বই দর্শকদের মধ্যে গভীর আগ্রহের সৃষ্টি করেছিল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন সাইদা মুনা তাসনিম। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, যুক্তরাজ্য
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন সাইদা মুনা তাসনিম। ছবি: বাংলাদেশ হাইকমিশন, যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশ মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব এবং বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব ও জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

বাংলাদেশের তথ্যসচিব আবদুল মালেক ও দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এতে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র জন বিগস ও নিউহ্যাম কাউন্সিলের মেয়র রোকসানা ফায়েজ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবৃত্তিকার ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহর কণ্ঠে জাতির পিতাকে নিয়ে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর (কামাল চৌধুরী) লেখা একটি কবিতার আবৃত্তি দর্শক-শ্রোতাদের অভিভূত করে। এ ছাড়া বাংলাদেশি-ব্রিটিশ শিল্পীদের পরিবেশিত নাচ ও গান বইমেলায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির এক মনোমুগ্ধকর আবহ তৈরি করে।

বাংলাদেশ ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অতিথি এবং লন্ডনের পাঠক-ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও সংস্কৃতিকর্মীরা এ মেলায় যোগদান করেন। বিজ্ঞপ্তি