ইংল্যান্ডে ঢাবি ফিন্যান্সের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা

মিলনমেলায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আমিনুল ইসলামের মাধ্যমে প্রাপ্ত
মিলনমেলায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আমিনুল ইসলামের মাধ্যমে প্রাপ্ত

আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা। ১৬ নভেম্বর এসেক্সের একটি হলে এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে বসবাসরত ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের অ্যালামনাইরা এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এসেক্সের মিলনায়তনটি যেন হয়ে ওঠে ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন সময়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এক মিলনমেলা। এ রকম একটি পুনর্মিলনীর জন্য যেন অনেক দিন ধরেই তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের অ্যালামনাই অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও ইংল্যান্ডে এই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো অ্যালামনাই।

অনুষ্ঠানটিকে সফল করার জন্য যাঁরা উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তাঁরা হলেন বিবিএর তৃতীয় ব্যাচের শহিদুল ইসলাম, রইস খান, মোহাম্মদ ফারুকী, ফারহানা আফরোজ ও প্রথম ব্যাচের সুজানা শফিক এবং লেখক (ফিন্যান্স ১৫তম ব্যাচ)। আমাদের সবার অক্লান্ত পরিশ্রম ও সুন্দর পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানটি ভিন্নমাত্রা পায়।

গতানুগতিক ধারার বাইরে থেকে সবাইকে আনন্দ দেওয়ার প্রত্যয় নিয়েই অনুষ্ঠানটিকে সাজানো হয়। শুরুতে ফাহমিদা আফরোজ সবাইকে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর আয়োজক কমিটির মধ্য থেকে রইস খান আগত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন ফিন্যান্সের অষ্টম ব্যাচের মো. আবদুল হাকিম, ১৫তম ব্যাচের নাহিদ নওয়াজিশ, ১৭তম ব্যাচের ড. মুশফিক উদ্দিন ও ১৪তম ব্যাচের লুৎফুল কবির। এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের সবাইকে মঞ্চে ডাকা হয় এবং এ ধরনের একটি চমৎকার অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানানো হয়। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সবাই।

অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্বে ভিডিও প্রেজেন্টেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানের ছবি প্রদর্শনের মাধ্যমে স্মৃতিচারণা করা হয়। এরপর কুইজ প্রতিযোগিতায় উপস্থিত অ্যালামনাইরা অংশগ্রহণ করেন। এই পর্ব পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির অন্যতম সুজানা শফিক। তাঁর প্রাণবন্ত উপস্থাপনা সবাইকে মুগ্ধ করে।

আয়োজনে আরও ছিল আকর্ষণীয় ম্যাজিক শো ও র‌্যাফেল ড্র। ছিল সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

‘এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’ সোলসের একসময়ের জনপ্রিয় গানটি দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। বিলেতের জনপ্রিয় শিল্পী জিল্লুর রহমান, বাপিতা বাপ্পি, রওনক আনোয়ার ও তন্ময় সংগীত পরিবেশ করে উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে রাখেন। সবশেষে ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ মান্না দের বিখ্যাত এই গান গেয়ে শোনান ড. মুশফিক উদ্দিন।

গভীর রাতে অনুষ্ঠান শেষ হলেও কারও যেন বাড়ি ফেরার ইচ্ছা ছিল না। ম্যানচেস্টার, লিডস, বার্মিংহামসহ বিভিন্ন শহর থেকে অনেকে এলেও অনুষ্ঠানের পর থেকেছেন বন্ধুবান্ধবের বাড়িতে। পরদিন নিজ শহরে ফিরে গেছেন মনভরা আনন্দ ও আবার কবে বসবে এই মিলনমেলা, সেই প্রত্যাশা নিয়ে।