কলম্বোয় বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপিত

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কলম্বোয় বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করেন কলম্বোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মু. রিয়াজ হামিদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কলম্বোয় বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করেন কলম্বোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মু. রিয়াজ হামিদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সোমবার সকালে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন হাইকমিশনার মু. রিয়াজ হামিদুল্লাহ। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এবং দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পড়ে শোনানো হয়।

বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী ভূমিকা ও বিরল আত্মত্যাগের ওপর আলোকপাত করেন শ্রীলঙ্কার তরুণ গবেষক ট্রিভান আন্নাকারেজ। এ সময় হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

শ্রীলঙ্কান নাগরিকদের মধ্যে বিজয় দিবসের তাৎপর্য ছড়িয়ে দিতে সোমবার সন্ধ্যায় কলম্বোয় শীর্ষস্থানীয় আর্ট গ্যালারিতে পাঁচ দিন ব্যাপী চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শ্রীলঙ্কার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাদেশিক গভর্নর সীতা আরামবেপোলা। প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ছয়জন সমকালীন শিল্পীর চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হবে। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলীয় রাজারাটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ১৯ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ দিবস’ পালিত হবে।

এর আগে বিজয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে রোববার রাতে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ‘মাটির প্রজার দেশে’ দেখানো হয়। চলচ্চিত্রটি সিংহলি ভাষায় ডাবিং করে দেখানো হয়। এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো চলচ্চিত্র শ্রীলঙ্কান চ্যানেলে দেখানো হলো।