উইনিপেগে ওড়ানো হলো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা

সিটি হলে উড়ছে বাংলাদেশ, কানাডা ও উইনিপেগ সিটির পতাকা। ছবি: আশরাফুল রিফাত
সিটি হলে উড়ছে বাংলাদেশ, কানাডা ও উইনিপেগ সিটির পতাকা। ছবি: আশরাফুল রিফাত

উইনিপেগে ওড়ানো হলো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশের রাজধানী উইনিপেগে উদ্‌যাপিত হয়েছে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস। গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে উইনিপেগের মেয়র অফিসে কানাডার জাতীয় পতাকা ও উইনিপেগ সিটির পতাকার সঙ্গে উত্তোলন করা হয় বাংলাদেশের লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা।

উল্লেখ্য, ম্যানিটোবায় এই প্রথম কোনো সরকারি ভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হলো। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উইনিপেগের ডেপুটি মেয়র মার্কাস চেম্বার। এ সময় আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে অনেক বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। ছবি: আশরাফুল রিফাত
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। ছবি: আশরাফুল রিফাত

পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানটি উইনিপেগ সিটি কর্তৃপক্ষ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সহায়তা করে ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও কানাডা-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (সিবিএ) ম্যানিটোবা।

ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটি হলে (মেয়রের কার্যালয়) আসার জন্য সিটি কর্তৃপক্ষ বিনা মূল্যে একটি বাসের রাইড প্রদান করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অনেকে সেই বাসে করে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন উইনিপেগের ডেপুটি মেয়র মার্কাস চেম্বার। ছবি: আশরাফুল রিফাত
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন উইনিপেগের ডেপুটি মেয়র মার্কাস চেম্বার। ছবি: আশরাফুল রিফাত

পতাকা উত্তোলনের আগে ডেপুটি মেয়র তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহীদদের আত্মত্যাগ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বহু সংস্কৃতির দেশ কানাডা। কানাডা বহু সংস্কৃতিকে লালন করে। এর ধারাবাহিকতায় উইনিপেগ সিটি আজ বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করতে পেরে গর্বিত।

তিনি জানান, ম্যানিটোবাতে বাংলাদেশি কমিউনিটি দিন দিন বড় হচ্ছে। তাঁরা কানাডার অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। এ কারণে ম্যানিটোবাসহ কানাডাতে বাংলাদেশি কমিউনিটির গুরুত্ব অনেক।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পতাকা হাতে বাংলাদেশিদের একাংশ। ছবি: আশরাফুল রিফাত
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পতাকা হাতে বাংলাদেশিদের একাংশ। ছবি: আশরাফুল রিফাত

অনুষ্ঠানে ডেপুটি মেয়র ছাড়া তিনজন কাউন্সিলর জানিস লেহা লুকাস, ব্রেইন মায়েস ও কেভিন কেলিন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সিবিএর প্রেসিডেন্ট নাসরীন মাসুদ। তিনি এই ধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজনে উইনিপেগ সিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

আলোচনার পর বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। তখন উইনিপেগের তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের নিচে (মাইনাস) ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাউন্সিলরদের নিয়ে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন ডেপুটি মেয়র মার্কাস চেম্বার। এ সময় উপস্থিত বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গান। জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে আমন্ত্রিত অতিথিরা কেক কাটেন।

অনুষ্ঠানে কেক কাটছেন উইনিপেগের ডেপুটি মেয়রসহ অন্যরা। ছবি: আশরাফুল রিফাত
অনুষ্ঠানে কেক কাটছেন উইনিপেগের ডেপুটি মেয়রসহ অন্যরা। ছবি: আশরাফুল রিফাত

অনুষ্ঠানে সিবিএর সদস্য, ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সদস্যসহ উপস্থিত ছিলেন হেলাল মহিউদ্দিন, আশরাফুল আলম, রুমেল হালদার, দুর্দানা ইসলাম, মাহমুদুন নবী, মো. রবিউল ইসলাম খান, সিলভিয়া সেকান্দর, এস এম এ রানা, রেজা কাদির, সামিলাত কায়সার, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম খান, জুলিয়াস ভ্যালেনটাইন গোমেজ, এ কে এম মনসুরুল আলম, আল ইমরান ফাহিম, মো. মাহমুদুল হাসান, তাহবিত দেওয়ান, জাহিদুল হক, আশরাফুল রিফাত, আবু হাসনাত, নুরিন মোবাশশিরা, ফাহিম শাহরিয়ার, সাইফুল সাফকাত, আবরার ফাহিম প্রমুখ।