কায়রোয় বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস
মিসরের রাজধানী কায়রোয় বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে। দিবসের প্রধান কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। দূতাবাসের সব সদস্যের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত এ টি এম আবদুর রউফ মণ্ডল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় দূতাবাস মিলনায়তনে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় এ দিবস উপলক্ষে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী উপস্থিত অতিথিদের সামনে পাঠ করে শোনানো হয়।
দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে থেকে কয়েকজন সভায় বক্তব্য দেন। তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে এ টি এম আবদুর রউফ মণ্ডল স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মিসরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
আবদুর রউফ মণ্ডল উল্লেখ করেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ভিশন-২০২১ ও ২০৪১ এবং বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ দৃপ্ত প্রত্যয়ে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
আবদুর রউফ মণ্ডল বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপিত হবে। যা বাঙালি জাতির ইতিহাসে অনন্য মাইলফলক। কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাসও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান দুটো যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করবে। তিনি মিসরপ্রবাসী বাংলাদেশিদের এই কর্মসূচিগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান।
সভার পর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি, দেশের গান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।