কেনিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিজয় দিবস উদ্যাপন
কেনিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ মর্যাদায় ৪৯তম বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে দেশটির রাজধানী নাইরোবিতে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করা হয়।
মিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে পতাকা উত্তোলন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার। এরপর হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বিকেলে বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে মিশনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন হাইকমিশনার মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার।
আমন্ত্রিত অতিথিদের কয়েকজন দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। হাইকমিশনার মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদারের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান শেষ হয়।
বক্তারা জাতির পিতাসহ আমাদের এই মহান বিজয় অর্জনে অবদান পালনকারী ব্যক্তিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের চেতনায় দেশ গড়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে ত্যাগ স্বীকার করা সব ব্যক্তির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা নিবেদন করেন। অর্থনৈতিক-সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিজয়ের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়াতেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার জন্য তিনি সবাইকে আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশির পাশাপাশি কেনিয়ায় সফররত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে।
এর আগে সভার শুরুতে জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিজয় দিবসের বাণী পাঠ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি