মুম্বাইয়ে বিজয় দিবসে বাংলাদেশ উৎসব
ভারতের বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস মর্যাদা ও সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপহাইকমিশন গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।
বিজয় দিবস উদ্যাপনের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রেসিডেন্ট হোটেলে বাংলাদেশ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও খাদ্য উৎসব অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশটির চলচ্চিত্রের বিশিষ্ট অভিনেতা চাঙ্কি পান্ডে। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী মিতালী মুখার্জি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন শিল্পকলা একাডেমি থেকে আসা সাংস্কৃতিক দল সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে আসা বিশিষ্ট রন্ধনশিল্পী নয়না আফরোজের তত্ত্বাবধানে খাদ্য উৎসবের আয়োজন করা হয়।
দেশটির মহারাষ্ট্র প্রদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, মুম্বাইয়ের কূটনৈতিক কোরের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট আমন্ত্রিত অতিথি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন সদস্য, ভারতীয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, উপহাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের বাঙালি খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।
এর আগে দিবসের প্রথম ভাগে উপহাইকমিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বিশেষ মোনাজাত, দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার মো. লুৎফর রহমান।
বিশেষ মোনাজাতে জাতির পিতার মহান আত্মার ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের মাগফিরাত এবং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ও জাতির উন্নতি ও শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
আলোচনা সভায় উপহাইকমিশনার মো. লুৎফর রহমান তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক এবং স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বাংলাদেশের সব নাগরিককে জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য সচেতনভাবে কাজ করার এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার আহ্বান জানান। এরপর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ‘বঙ্গবন্ধু: আওয়ার গ্রেট লিডার’ প্রদর্শিত হয়।